ধারাবাহিক ভাবে রান পাওয়ার পরও দলে জায়গা পাননি সঞ্জু, তাই নিয়ে অবাক অনেকেই। অনেকেই অনেক রকম মত তুলে ধরেছেন, কিন্তু সঞ্জুর বাবা, বলছেন অন্য কথা। তবে কি ক্রিকেট রাজনীতির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকতে পারছেন না সঞ্জু। যদিও ইংলন্ড্যের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন তিনি। কিন্তু ভালো খেলার পরও কেন সুযোগ পেলেন না তিনি, তা নিয়ে ক্রিড়া মহলে চাপান উতোর শুরু হয়েছে। অনেকে তার বাবার অভিযোগকেই সত্যি বলে মনে করছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সঞ্জু স্যামসন সুযোগ না পাওয়ায় অবাক অনেকেই। কেউ বলছেন কোচ গৌতম গম্ভীর তাঁকে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নির্বাচক অজিত আগরকর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা চাননি। তাঁরা ঋষভ পন্থকে চেয়েছিলেন।
অনেকে আবার বলছেন সঞ্জু বিজয় হজারে ট্রফি না খেলায় বাদ পড়েছেন।অন্যদিকে সবার মতের বিপরীতে গিয়ে সঞ্জুর বাবা বিশ্বনাথ দোষ দিচ্ছেন কেরল ক্রিকেট সংস্থাকে।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে উইকেটরক্ষক হিসাবে রয়েছেন দু’জন, লোকেশ রাহুল এবং পন্থ। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে রান করা সঞ্জুর বাদ পড়া মেনে নিতে পারছেন না তার বাবা। বিশ্বনাথ বলেন, “কেরল ক্রিকেট সংস্থার কিছু কর্তা আমার ছেলেকে পছন্দ করে না। এর আগে কখনও সংস্থার বিরুদ্ধে কথা বলিনি। কিন্তু এ বারের ঘটনাটা সত্যিই খুব বড়।বিজয় হাজারে ট্রফির আগে কেরল ক্রিকেট সংস্থা যে ক্যাম্প করেছিল,সেই ক্যাম্পে সঞ্জু একা যায়নি এমনটা নয়, অনেকেই যায়নি। তাদের খেলতে দেওয়া হয়েছে।” ভারতের ঘরোয়া এক দিনের প্রতিযোগিতা অর্থাৎ বিজয় হাজারে ট্রফির আগে একটি ক্যাম্প করেছিল কেরল ক্রিকেট সংস্থা। সেই ক্যাম্পে যোগ দেননি সঞ্জু। তাঁর বাবা ওই ক্যাম্পের কথাই উল্লেখ করেছেন। সঞ্জু ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ায় তাঁকে বিজয় হজারের দলে নেওয়া হয়নি। অথচ, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে যা ভারতের আর একটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতাতে কেরলের অধিনায়ক ছিলেন সঞ্জু। বিশ্বনাথ বলেন, “জয়েশ জর্জ কেসিএ সভাপতি বা বিনোদ কুমার কেসিএ সচিব নন, আরও কিছু কর্তা আছেন যাঁরা সব কিছুকে বিষাক্ত করে দেন। আমরা খেলোয়াড়, খেলা নিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা নেই। শুধু চাই আমার ছেলেকে খেলার সুযোগটা দেওয়া হোক। কোনও ভুল হলে সেটা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ না পেলেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে সুযোগ পেয়েছেন সঞ্জু। ২২ জানুয়ারি ইডেনে হয়তো খেলতেও নামবেন। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ়ে ধারাবাহিক ভাবে রান করতে পারলে নির্বাচকদের চাপে ফেলে দিতে পারেন তিনি। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আর কোনও বদল হওয়ার সম্ভাবনা কম।যদি বিসিসিআই থেকে থেকে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। তবে এমন সম্ভাবনাও খুব কম। তাই এটা ধরে নিতেই হবে যে সঞ্জুর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না।
Discussion about this post