বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যদি সেনাপ্রধান কে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দেন, তবে কি তার বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এ প্রশ্নটা থেকেই যায়। কিন্তু এবার একজন সমন্বয়ককে বলতে শোনা গেল সেনাপ্রধান রাষ্ট্রদ্রোহী। যে ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল।
সম্প্রতি সমন্বয়ক মাহিন সরকার এর বক্তব্য, সেনাপ্রধানযে কাজ করেছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল। সমন্বয়ক মাহিন এই ধরনের মন্তব্য করার পর তার বিরুদ্ধে কেন কোন রকম আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্নও উঠছে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। পুরো বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইটাল হওয়ার পরেও কেন কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্নটাও এখন প্রাসঙ্গিক।
সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেছেন, ” ক্যান্টনমেন্ট থেকে কোনও থিওরি আসবেনা ক্যান্টনমেন্টের কোন থিওরি মানা হবে না।” এই মন্তব্যর পরেই তিনি আরও বলেছেন সরকারের সমালোচনা যে কোন মানুষ করতে পারবেন কিন্তু সেনাবাহিনী সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না। সেনাবাহিনীর প্রধান যে মন্তব্য করেছেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। “
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারি সেনাপ্রধান যে বার্তা দিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গেই সমন্বয়কের এই মন্তব্য। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেনাপ্রধান মব জাস্টিস নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন এনাফ ইস এনাফ, এটা আর চলতে পারে না বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হচ্ছে এই মব জাস্টিসের জন্য। আর এই ঘটনাগুলি নিয়ে যদি সেনাপ্রধান কে তার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় তবে কি সেটা আইনানুগ শাস্তির আওতায় পড়ে না?
আরো একটি প্রশ্ন উঠে আসছে মাহিন সরকারকে কি সমন্বয় হিসাবে গণ্য করা হবে? কারণ জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের পরে আহ্বায়ক নাহেদ ইসলাম জানিয়েছিলেন এরপর থেকে সমন্বয়ক বলে আর কোন পদ থাকবে না। যদি কোন ব্যক্তি সমন্বয়কের পরিচয় নিয়ে কোন অসামাজিক কাজ করে থাকে তবে তার দায় জাতীয় নাগরিক পার্টি নেবে না। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই সমস্ত অপরাধের বিরুদ্ধে আইনান্য ব্যবস্থা নিতে পারে কিন্তু সেনাবাহিনীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যে অভিযোগ আনার পরেও কেন নিশ্চুপ সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এমনকি এই ঘটনার পর নিশ্চুপ বাংলাদেশ সরকারও। এই ঘটনাটি যদি কোন সাধারণ মানুষ ঘটাতো তবে কি নিশ্চুপ থাকতো সরকার ও প্রশাসন। সরকারের এই নির্বিকার ভূমিকায় বিভিন্ন দুর্বৃত্ত কারী ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
Discussion about this post