ইউনূসের শেষের শুরু। হাসিনাকে ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। এমন খবর চাউর হচ্ছে বাংলাদেশের অন্দরে। নাহলে হঠাৎ তিনি কেন সেনাবাহিনীকে কঠোর হাতে চালনা করছেন? কেন তাদের বাংলাদেশের রাস্তাতে নামাচ্ছেন? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে।
শোনা যাচ্ছে, হিজবুত তাহরী, জামাত ইসলামীর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে দমন করতে সিদ্ধ হস্তে সেনাবাহিনী। তাড়া যাতে কোনওভাবেই বেড়ে উঠতে না পারে, তারও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ কেন এই তৎপরতা? কারণ বাংলাদেশের এইরকম পরিস্থিতি আজ নতুন নয়। দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস। অর্থাৎ যতদিন শেখ হাসিনা জমানার পতন হয়েছে। আর তারপর থেকে বেড়েছে অপরাধমূলক কার্যকলাপ। বাংলাদেশে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ। বেড়ে উঠছে জঙ্গি সংগঠন গুলি। এবার সামনে এল, ওয়াশিংটন এক্সামিনারের প্রকাশিত প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদনে ছত্রছত্রে প্রশ্ন উঠে আসছে, বাংলাদেশ কি পরবর্তী আফগানিস্তান! অর্থাৎ বাংলাদেশের বর্তমান চেহারাটা বিশ্বের দরবারে অত্যন্ত ভয়ানক। আর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই ধরনের কিছু প্রকাশিত হলে, বা কেউ মন্তব্য করলে ভারতকে দোষারোপ করে বাংলাদেশ। ঠিক যেমনটা করা হল, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যকে।
বাংলাদেশের লক্ষণীয় একটি বিষয় হল, আন্তর্জাতিক কোন গণমাধ্যম বা কোন ব্যক্তিত্ব ইউনূসের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা বা কোন মন্তব্য পেশ করলে বলা হয়, ভারত দায়িত্ব নিয়ে বিশ্ব দরবারের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু তারা এটা বুঝতে পারছে না, যে ভারতের তরফে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রচুর। কাজেই সে দেশ যদি অশান্তির মধ্যে থাকে, তবে আখেরী ক্ষতি হবে ভারতেরই। তাই ভারত কোনভাবেই চাইবে না, বাংলাদেশের মানুষ খারাপ থাকুক বা সেখানে অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়ে যাক। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ যখন নড়েচড়ে বসছে, তখন বাংলাদেশে আর কতদিন মোহাম্মদ ইউনুস সিংহাসনে থাকতে পারেন, সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন। এর পাশাপাশি সেনাপ্রধানই এখন কঠোর। এখন দেখার, মোহম্মদ ইউনূসের পরিস্থিতি কতদিন অনুকূলে থাকে।
Discussion about this post