বিগত কয়েক দিন ধরেই ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। তবে এই রাজনৈতিক অস্থিরতার সব থেকে বড় প্রভাব যে ভারতের ওপর পরতে চলেছে ,তা গত কয়েক দিন ধরে জলপাইগুড়ি, কুচবিহার জেলা লাগোয়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত গ্রামে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ভিড় করা হাজার হাজার বাংলাদেশিদের দেখেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা মোট ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৯৩৮ কিলোমিটার। তারই একটি অংশ জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত সাউথ বেরুবাড়ী অঞ্চলের সাতকুরা, ধরধরা গ্রাম। যে গ্রামের সীমান্ত দিয়ে ইতিমধ্যেই ওপারের নিপীড়িত অত্যাচারিত হিন্দু বাংলাদেশি নাগরিকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এপারে প্রবেশের চেষ্টা করে চলেছে।
এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলের সীমান্তে লাগানো পুরনো কাটা তারের বেড়ার পরিবর্তে অতি মজবুত এবং উচ্চতায় বেশী স্মার্ট ফেন্সিং লাগানোর কাজ দ্রুতার সঙ্গে সেরে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছেন সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে ধরধরা গ্রামের সুশীল রায় জানান, এই বেড়া আগের থেকে অনেক মজবুত এবং উচু। এটা লাগানোর কাজ শেষ হলে আমাদের নিরাপত্তা যেমন বাড়বে তার সঙ্গে অনুপ্রবেশ করতে পারবে না বাংলাদেশিরা। ওপর এক গ্রামবাসী আনন্দ অধিকারী বলেন, এই স্মার্ট ফেন্সিং অনেক শক্ত, আগে যে তারের বেড়া ছিলো সেই গুলোকে কাটা যেত, কিন্তু এখনকার এই স্মার্ট ফেন্সিং অনেক শক্ত, তাই এখন আর সেই ভয় নেই আমাদের। এই স্মার্ট ফেন্সিং দেওয়ার কাজ শেষ হলে ওপারের অনুপ্রবেশকারীরা সহজে ভারতে ঢুকতে পারবে না বলেই অনুমান বিএসএফ এবং গ্রামবাসীদের।
Discussion about this post