শত্রুর শত্রু বন্ধু,এই নীতি নিয়েই চলছে বাংলাদেশ এবং চীন। অবশ্য বিশ্ব রাজনীতিও চলছে এই নীতিতেই । তাই চীন যেমন ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে তাদের সম্পর্ক মজবুত করতে বেশী আগ্রহী। তেমন ভারতও চীনের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বোজায় রাখতে বিশেষ আগ্রহী। শুধু তাই নয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়েও সাহায্য করে থাকে। এই মহুর্তে চীনের বিশেষ আগ্রহ বাংলাদেশ । তাই ইউনূসকে তাদের দেশে নিয়ে যেতে বিশেষ বিমান পাঠাতেও রাজী তারা।
জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ এবং চীনের সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দ্বীপাক্ষিক আলোচনার আয়োজন করতে চায় চীন। এবং এই জন্য তারা বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে ইউনূসকে চীনে নিয়ে যেতে চায়। জানা যাচ্ছে বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের পর, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যখন তলানীতে ঠিকেছে, সেই সুযোগে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে। হাসিনার সময়ে তিস্তা চুক্তি হয়েও ভারতের কারণে সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। এখন চীন বাংলাদেশকে ঐ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী ২৭ এবং ২৮শে মার্চ বেজিং-এ অনুষ্ঠিত হতে চলা বাও ফোরাম ফর এশিয়ার সম্মেলনে ইউনূসকে যোগ দিতে আমন্ত্রন জানিয়েছে চীন। বিশেষ এই সম্মেলনে এশিয়ার সমস্ত দেশের নেতা শিক্ষাবিদ এবং ব্যবসায়ীরা অংশ গ্রহন করে থাকেন। চীনের ঐ অনুষ্ঠানের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইউনূস ব্যস্ত থাকতে পারেন ধরে নিয়ে , চীন বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করবে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহম্মদ তৌফিদ হোসেন। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইয়াং ওয়েনের সঙ্গ আলোচনায় বসবেন তিনি। সেসময় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের চীন সফর নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আলোচনা হতে পারে অর্থনৈতিক সহযোগীতা এবং ব্যবসায়িক এবং স্বাস্থ্য খাতে চীনের অংশিদারিত্ব বাড়ানোর বিষয় নিয়েও। বৈঠকে ঢাকা বেজিং-এর সুবর্ণ জয়ন্তীতে পারস্পরিক সহযোগীতা কিভাবে এগোবে তা নিয়েও আলোচনা হবে। আগামীদিনগুলিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে তা নিয়ে কোন সংশয় থাকছে না। বিশেষ করে চীনের সহযোগীতায় মৈত্রী হাসপাতাল স্থাপন, বাংলাদেশের রোগীদের জন্য অল্প খরচে চিকিৎপরিষেবা নিশ্চৎ করা। এছাড়া বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে তিস্তা নদী বাঁধ। তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে কিভাবে বাংলাদেশে উন্নতি ঘটানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। প্রস্তাবিত বিষয়গুলির মধ্যে তিস্তা নদীর গভীরতা ৫ মিটার থেকে বাড়িয়ে ১০ মিটার করা। পাশের বালি সরিয়ে কৃষি জমিকে উর্বর করার কাজও করবে চীন। এছাড়া সামরিক সহযোগীতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে।
Discussion about this post