বাংলাদেশে শুধুই সন্ত্রাস হানাহানি এবং সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দাবি গত পাঁচ মাসে প্রতিমাসে ৩১৩ জন খুন। এই প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ কি অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস কোনভাবেই কি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে আইন-শৃঙ্খলা? এই সমস্ত প্রশ্নই উঠছে।
এই আবহে একটি ভয়াবহ তথ্য সামনে এসেছে। আরে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে। আওয়ামী লীগ, যাদের ব্যান করার কথা বলছে অন্তর্বর্তী সরকার এমনকি তাদের কোনরকম কর্মসূচিও তারা করতে দেবে না এবং বাধা প্রদান করবে বলেও বার্তা ইউনুস প্রশাসনের। এবার তাদেরই পাল্টা চাপে ফেলতে আওয়ামী লীগ একটি তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে যে তথ্য তারা এতদিন ধরে গোপনে রেখেছিল। ভয়ানক তথ্য টি হল অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনকালে বিগত পাঁচ মাসে প্রতি মাসে ৩১৩ জন খুন হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়টিও বিশদে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। রিপোর্টে বলা হচ্ছে গুলি থেকে বা ধারালো অস্ত্র থেকে এই মৃত্যু হয়েছে। মূলত এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে যে কোন রকম দুর্ঘটনা হাতাহাতির জেরে এই মৃত্যু নয়, এই মৃত্যু সুপরিকল্পিতভাবে একটা খুনকেই ইঙ্গিত করে। রীতিমতো হামলা চালিয়ে গুলি এবং ধারালো অস্ত্রের দ্বারাই খুন করা হয়েছে।
এবার বিদায়ী বছরের কথা বলা হচ্ছে যে, অগাস্টে হাসিনা সরকারের পতন এবং তারপর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ১৫৬৫ টা খুন হয়েছে কোনটাই স্বাভাবিক বা দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোন মৃত্যু নয়, সবটাই সুপরিকল্পিত খুন। এবার চলতি বছর জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত যে হিসেব দেওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে কমপক্ষে প্রতিদিন একজনের বেশি মৃত্যু হয়েছে আর আহত সংখ্যা প্রচুর।
এবার বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির ছবিটা যদি এরকমই হয়, যেখানে প্রতিদিন মৃত্যু মিছিলের ছবি উঠে আসছে সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস কিভাবে দাবি করে যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সবকিছুই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে।
আওয়ামী লীগের রিপোর্টে যে খুনের তথ্য উঠে আসছে সেখানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার পর থেকেই বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের।
যেখানে বিগত পাঁচ মাস ধরে নির্যাতন নিপীড়ন চলছে সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপর।
সম্প্রতি দেখা গেল, বাংলাদেশের হরিজন কলোনি বিগত সময়ে যেখানে কোনদিনই সন্ত্রাসের আজ দেখা যায়নি কোনরকম বিবাদ লক্ষ্য করা যায়নি সেখানেই নাকি রাতের অন্ধকারে তাদের কলোনিতে ভাঙচুর করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাশের কালী মন্দির যেখানে ভাঙচুর করে লুটপাটও করা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা এখন কোন বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। কারণ বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে বিগত পাঁচ মাসে। গত কয়েক দিনের ঘটনার দিকে নজর রাখলেও ঠিক একই ঘটনার ছবি উঠে আসবে।
আর এই সমস্ত বিষয়ে কোনো রকম বক্তব্য নেই বিবৃতি নেই ইউনুস সরকারের। উল্টে বাংলাদেশে হামলা ও নিপীড়নের প্রত্যেকটি ঘটনা কে অস্বীকার করে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
Discussion about this post