সীমান্তে মিয়ানমারের প্রায় ২৭০ কিলোমিটার এলাকা কিছুদিন আগে নিয়ন্ত্রণে নেয় সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি।নিয়ন্ত্রণ নিয়েই নাফ নদে মিয়ানমার অংশে নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। যার প্রভাব টেকনাফকেন্দ্রিক সীমান্ত বাণিজ্যে পড়েছে।নয়া বছরের প্রথম মাসে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে কোনো পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ বন্দরে নোঙর করেনি। উল্টে বাংলাদেশমুখী পণ্যবাহী চারটি কার্গো আটকে রেখেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা।কবে নাগাদ জাহাজগুলো ছাড়া পাবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। এসব জাহাজের মালিক মিয়ানমারের হলেও সব পণ্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।
কক্সবাজারের টেকনাফের স্থলবন্দরের উদ্দেশে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে ছেড়ে আসা চারটি পণ্যবাহী জাহাজ তিন দিন ধরে আটকে রেখেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। জাহাজগুলোতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে।
সর্বশেষ পণ্যবাহী জাহাজগুলো গত শনিবার বিকেলে নাফ নদের ওপারে মংডুর খারাংখালী খালে নিয়ে নোঙর করতে বাধ্য করেছে আরাকান আর্মি। টেকনাফের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তাঁরা জানিয়েছেন, মায়ানমারের জুন্তা শাসিত ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য বোঝাই জাহাজ চারটি টেকনাফ এ আসছিল। টেকনাফের জেটিঘাটের ওপারে মায়ানমার সীমান্ত বরাবর পৌঁছালে জাহাজগুলোকে আটক করে আরাকান আর্মি।
গতকাল টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘জাহাজ চারটিকে নাফ নদের ওপারে মংডুর খারাংখালী খালে নিয়ে নোঙর করতে বাধ্য করেছে আরাকান আর্মি। জাহাজে আমার আমদানি করা পণ্যও রয়েছে।
Discussion about this post