ইউনূস মিয়ার বয়স হয়ে গিয়েছে, তাছাড়া দেশে সত্যিই কোন বিপদ এলে তিনি অন্য কোন দেশে চলে যেতে পারেন। কারণ ইউনূস মিয়া দায়িত্বশীল নেতাতো দুরের কথা, আসলে তিনি কোন নেতাই নন। তার ঘাড়ে বন্দুক রেখে পাকিস্তান তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করতে চাইছে।আর সেটা বুঝে গেছেন সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান। তাই তিনি দেশবাসীর ভালোর জন্য ইউনূসকে মনে করিয়ে দিলেন সমন্বয়ক প্রধান হিসাবে তার কী কর্তব্য, সেই সঙ্গে ভারত নিয়ে ভূল বার্তা দিয়ে দেশবাসীকে বিপদের মুখে না ফেলারও পরামর্শ দিলেন। এখন ইউনূস সাহেব যদি সেনাপ্রধানের ভদ্র ভাষা না বোঝেন, তাহলে হয়তো এবার সেনাপ্রধান যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের যে রূপ থাকে, সেই রূপেই ইউনূস সাহেবের সঙ্গে কথা বলবেন।এখন ইউনূস বাহিনী বুঝতে পেরেছে যে সেনাপ্রধান আগস্টে যে বলেছিলেন, তারা নতুন সরকারের সঙ্গে আছেন, সেই মেয়াদ বুঝি এবার ফুরিয়েছে। সেনাপ্রধানের হাত সরে যাচ্ছে ইউনূস বাহীনির মাথা থেকে।
যতদিন যাচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা ততই খারাপের দিকে যাচ্ছে, যা ভালোমতই বুঝেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। তাই তিনি এবার ইউনূস সাহেবকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করলেন। আর কালকের সেনাপ্রধানের কথা শোনার পর,হয়তো রাতে ঘুম আসেনি ইউনূস সাহেবের। সেনাপ্রধান ইউনূসকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তার দায়িত্ব যা তিনি তা করছেন না। উল্টে যেগুলো নির্বাচিত সরকারের করা উচিৎ তিনি সেই দিকে বেশী নজর দিচ্ছেন, সব থেকে বড় কথা সবচেয়ে ভালো প্রতিবেশীর সঙ্গে সবথেকে বেশী খারাপ ব্যবহার করছেন ইউনূস বাহীনি। এখানে ভালো প্রতিবেশী বলতে ভারতের কথাই বোঝানো হয়েছে। কিন্তু সেনা প্রধান সবচেয়ে যে বিষয়ে ইউনূসেকে ধ্যান দিতে বলেছেন, তা হল নির্বাচন।যে নির্বাচন হবে বিতর্কমুক্ত, সুন্দর গল্পের মত। যেখানে দেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকারকে নির্বাচিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দিতে পারবেন। আর ইউনূস বাহীনি যে বার বার বলছে, তারা সংস্কার করবে, তার পর নির্বাচনে যাবে, সেনাপ্রধান এবিষয়ে দৃঢ়ভাবে বলেছেন, তোমাদের সংস্কার তোমাদের কাছেই রাখ। দেশ চাই নির্বাচন, সেবিষয়ে ধ্যান দাও। এই কথা শুনে প্রথম ঝটকা লাগে ইউনূস বাহিনীর। দ্বিতীয় বড় ঝটকা লাগে যখন সেনাপ্রধান ভারত নিয়ে তার মতামত পরিস্কার করে দেন। ওয়াকার বলেন ভারত বাংলাদেশের কাছে ভীষন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী।আমরা ভারতের উপর কোন একটি বিষয়ে নির্ভরশীন নই, অনেক অনেক বিষয়ে আমরা ভারতের উপর নির্ভরশীল। আমরা ভারতের সঙ্গে লাড়াই ঝগড়া চাইও না, আর ভারতের মত বিশাল দেশের সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করতে পারবও না।
ভারতের আগ্রহ হল বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, শুধু বাংলাদেশের নয় পুরো এশিয়ার স্থিতিশীলতা। আর ভুয়ো খবর শুনে বাংলাদেশী জনগনের মনে এই ধারণা না আসে যে ভারত বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। সেনাপ্রধান মনে করেন ভারত বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করলে দুই দেশেরই লাভ, আর সবেচেয়ে বেশী লাভ হবে বাংলাদেশের। কারণ আমরা একটি ছোট দেশ, এবং আমরা বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের উপর নির্ভরশীল। যখন ইউনূস বাহিনীর তরফ থেকে ভারত বয়কট ক্যাম্পেন চলছে, ঠিক তখন সেনাপ্রধানের বক্তব্য ইউনূস বাহিনীর গালে কষিয়ে চড় বসানোর মত। এখন ইউনূস বাহীনি বুঝতে পারছে যার কাঁধের নিচে বসে এই বয়কট বয়কট খেলা চলছিল,সেই কাঁধাটা আর তাদের পাশে নেই। তো এখন এটা বলাই যায় ২০২৪ এর পাশা ২০২৫ আসতে না আসতেই পাল্টে গেল। কারণ সেনাপ্রধান আরও বলেছেন বাংলাদেশ কখনই ভারতের বিরুদ্ধে যাবে না। কারণ বাংলাদেশের যেকোন বিপদে এখনও ভারতই বাংলাদেশের পাশে থাকে, এমনকি দু-ই দেশেই এই পরিস্থিতিতেও ভারত তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তাই দুই দেশের স্থিরতার জন্য দুই দেশের সর্বস্তরের সহযোগীতা প্রয়োজন। এই সবের মধ্যে সেনাপ্রধান কে সরানোর খবরও ভেসে আসছে, তবে সেই সাহস বা ক্ষমতা এই ইউনূস বাহীনির নেই। বাংলাদেশের জনগন এবং সেনাবাহীনি ভালো করেই জানে যে শুধু মুক্তিবাহীনির জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। যতদিন মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করছিল ততদিনে পাকিস্তানি সেনা ৩০ লক্ষ্য বাংলাদেশীদের নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলেছিল। ভারতীয় সেনা তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করছে।তাই ভারতকে নিয়ে কোন বিদ্বেষ না পসন্দ সেনাপ্রধানের।
Discussion about this post