জাতিসংঘকে ভুল তথ্য দিয়েছে ইউনুস সরকার? জানা যাচ্ছে, জুলাই আগস্টের ঘটনায় মানবধিকার লঙ্ঘন তদন্তে ইউনুস সরকার জাতি সংঘের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি রয়েছে রিপোর্ট প্রকাশ হতে। এর মধ্যে সামনে আসছে, জাতি সংঘকে ভুল তথ্য দিয়েছে ইউনুস।
জাতি সংঘের তরফে বলা হয়েছিল, জানুয়ারি মাসে রিপোর্ট পেশ করা হবে। কিন্তু এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র ইউনূসের অসহযগিতার কারণে। গত ২৪ অক্টোবর জাতি সংঘের মানবধিকার কমিশন বিষয়ক হাইকমিশন থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয় ইউনুস সরকারকে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও তথ্য পাঠায়নি ইউনুস। এমনকি এও বলা হয়েছে, ১২ ই সেপ্টেম্বর তথ্য অনুসন্ধান দল ইউনুস প্রশাসনকে তথ্য দিতে বলে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তা দেয়নি। এরপর পুণরায় জাতিসংঘের তরফে ৪ঠা নভেম্বর সময় বেধে দেওয়া হয়। সেই সময়ও নাকি ইউনুস কোনও তথ্য দিতে পারেনি। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন ইউনুস জাতি সংঘকে কোনও তথ্য দিল না? কি লুকাতে চাইছেন ইউনুস? এই প্রশ্নগুলি উঠছে একের পর এক।
রাজনৈতিক ভুল তথ্য মূলত দুই পক্ষকে ঘিরে ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের নেতাদের জড়িয়ে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা ৩৬ শতাংশ। আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, যা ৩৫ শতাংশ। জুলাই মাসের আন্দোলনকে শেখ হাসিনা কঠোরভাবে মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন। সে সময় তাঁকে ঘিরে ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে ছিল, সামরিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চাপ। যেমন ‘নতুন সেনাপ্রধান শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন’, ‘কোটা আন্দোলনের কারণে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়েছে’, ‘কোটা আন্দোলনের মধ্যে দেশ ছাড়ছেন’। এই ধরনের কিছু বার্তা। যেগুলি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো মিথ্যে বলছে।
এই বিষয়গুলি নিয়ে যদি জাতি সংঘের তরফে দেখা হয়, তবে আরও অনেক বিষয় উঠে আসবে, তা নিশ্চিত। যদিও এখনও অনেক ভুল তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে জানুয়ারি মাস চলে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রিপোর্ট পেশ করতে পারে কিনা জাতি সংঘ, এখন সেটাই দেখার।
Discussion about this post