টলিউডের অন্যতম ঠোঁটকাটা ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। পাশাপাশি তিনি লাস্যময়ী, পশুপ্রেমী এবং আদ্যন্ত বামপন্থী। শ্রীলেখা মিত্র, যিনি বলি হোক বা টলিউড, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারও বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পান না। ফলে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তিনি টলিউডের হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ আনতেও দ্বিধা করেননি। বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন, যোগ্যতা থাকা সত্বেও কিভাবে তিনি বারবার নায়িকার চরিত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। কয়েকজনের চক্রান্তে তিনি টলিউডে ভালো চরিত্রে সুযোগ পাননি। তিনি কাঠগড়ায় তুলতে পিছপা হননি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকেও। এই দুজনের প্রেম নাকি তাঁর কেরিয়ারে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলেও বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। এবার তাঁকে দেখা যাবে অন্য ভূমিকায়।
বামপন্থী শ্রীলেখা এবার পেলেন অন্য দায়িত্ব। দেশের মানবাধিকার কাউন্সিলের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ডাকাবুকো টলি অভিনেত্রী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর শংসাপত্রের ছবি শেয়ার করে শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, আমি মানবতার সঙ্গে এই দায়িত্ব গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ এই সম্মানে সম্মানিত করার জন্য। আমি আমার সেরা কাজ করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি হিউমান রাইটস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া এবং মাই রিলিজিয়ন অফ লাভ হ্যাসট্যাগ দিয়ে শ্রীলেখা অভিজিৎ রায়কেও ধন্যাবাদ জানিয়েছেন। তবে শ্রীলেখা কিন্তু এই পোস্টের মাধ্যমে অমানুষদের সাবধান বাণীও শুনিয়েছেন।
ঠোঁটকাটা শ্রীলেখা কিন্তু বরাবরই নিজের মতো করে বাঁচতে ভালোবাসেন। এর আগেও সমাজের নানা ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্কও হয়েছে। সমালোচিতও হতে হয়েছে এই টলি অভিনেত্রীকে। পোশাকআশাক নিয়েও তাঁকে বহুবার ট্রোল হতে হয়েছে। তবুও ডোন্ট কেয়ার শ্রীলেখা এবার মানবাধিকার কাউন্সিলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত হলেন। এই নতুন দায়িত্ব পেয়ে কি এবার তিনি চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াবেন?
Discussion about this post