সলমন খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এবার শোনা যাচ্ছে, এই হামলার পিছনে দেশবিরোধী শক্তির ইন্ধন রয়েছে কী না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই, এই ঘটনায় ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভিকি গুপ্ত, সাগর পাল ও অনুজ থাপন নামে তিন ধৃতকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। ধৃতদের ৮ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৪ এপ্রিল আচমকাই সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই বাইক আরোহীকে সনাক্ত করা হয়।
এই দুই বাইক আরোহী ৫ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। যার মধ্যে দু রাউন্ডে গিয়ে লাগে সলমনের ‘গ্যালাক্সি’ অ্যাপার্টমেন্টের বারান্দায়। গুলি চালিয়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনার তদন্তভার যায় মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে। ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত ও সাগর পালকে গ্রেপ্তার করে ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেয় ভুজ পুলিশ। ঘটনার পর সলমনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সুত্রের খবর, এই দুই অভিযুক্তকে জেরা করে জানা গেছে ঘটনার পর আগ্নেয়াস্ত তাপি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর তারা পালিয়ে যায় সুরাটে। দুটি বন্দুকই উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে তিনটি ম্যাগাজিন। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় বারবার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে এসেছিল। অভিযুক্ত ভিকি, সাগরও নাকি এই গ্যাংস্টারের দলের সদস্য।কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার পর থেকেই শত্রু চোখে দেখে বিষ্ণোই। জানা গিয়েছিল বিষ্ণোই এর হিটলিস্ট এর দশজনের মধ্যে অন্যতম ছিল সালমান খান।
Discussion about this post