কে প্রথম কাছে এসেছি, কে প্রথম ভালোবেসেছি। এই প্রশ্নটা আমরা যারা লাভ লাইনে ঢুকেছি, সারাক্ষণই মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে, তাই না। একই সঙ্গে প্রেম যে অন্ধ তা বারবারই প্রমাণিত হয়েছে নানাভাবে। কখনও একে অন্যের বয়সের চেয়ে হয়েছে অনেকটাই ছোট আবার কখনও একে অন্যের থেকে অনেকটাই বড়। কখনও বাবা কিংবা দাদার বয়সী আবার কখনও ছোট ভায়ের বয়সী ছেলের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন অনেক সেলেব। প্রথমে ভালোবাসা তারপর সোজা দু বাড়ির সম্মত্তিতে একেবারেই পৌঁছে গেছেন বিয়ে পিঁড়িতে।
সেলেবদের এই কর্মকাণ্ডকে ইস্যু করে কম জল ঘোলা হয়নি ভক্তমহলে। কিন্তু তাতেও কোনও হেলদোল দেখা যায়নি তারকা দম্পতিদের মধ্যে । সম্প্রতি, কাঞ্চন শ্রীময়ীর মধ্যে বয়সের ব্যবধানে বিয়ে নিয়ে কম কথা উঠেনি স্যোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু কেন বলছি বলুন তো আজ এই কথা। ভাবছেন তো ! আমরা আজ কথা বলবো অভিনেতা দীপঙ্কর দে আর অভিনেত্রী দোলন রায়কে নিয়ে। আমরা হয়তো কম বেশি সকলেই জানি, দীপঙ্কর দোলনের প্রেম জীবনের কথা। দীপঙ্কর দোলনের মধ্যে বয়সের ব্যবধানও কিন্তু ২৬ বছরের। তা সে বয়স যতই হোক না কেন, প্রেম যে সত্যি কোনও বাঁধাই মানে না। বয়স যে কেবলই একটা সংখ্যা মাত্র, তা ৭৫ বছরে এসে বুঝিয়ে দিয়েছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা দীপঙ্কর দে। কিন্তু অভিনেতা দীপঙ্কর দে কে কোথায় দেখে প্রথম মন হারিছিলেন অভিনেত্রী।
তবে এ বিষয় অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অভিনয় জগত থেকেই একে অপরের সঙ্গে আলাপ। কাজের ফাঁকে মাত্র দিন ১৫-র ছুটিতে থিয়েটার ট্রিপের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন দোলন। সেই ট্রিপের সঙ্গে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর বাবুও। সেখানে গিয়ে অভিনেতা দীপঙ্কর দে-কে এক শিক্ষকের ভূমিকায় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তবে শিক্ষক মানে কোনও নাটকের চরিত্রে নয়, থিয়েটার ট্রিপের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে নারীদের মাঝে বসে গান গাই ছিলেন অভিনেতা। আর তা দেখেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ব্যাস, সেই হোঁচট খাওয়া। তারপর একে অন্যের সঙ্গে চেনা জানা থেকে ক্রমশই কাছাকাছি আসা। এরপর বিয়ে না করেও একে অন্যের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকার ইচ্ছেতে লিভ ইন রিলেশনে আসা। সম্পর্কের কথা বাড়িতেও জানিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী, কিন্তু মেনে নেওয়া তো দূর, মেয়ের ভালো লাগার কথা শুনেই বেজায় চটে ছিলেন তাঁর বাবা। এমন জানিয়েছেন অভিনেত্রী দোলন রায়।
পেড়িয়েছে অনেকগুলো বছর। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২২ বছর লিভ ইন –এ থাকার পর, ১৬ই জানুয়ারি ২০২০তেই আইনি মতে বিবাহ সারেন এই তারকা জুটি। খুব আড়ম্বর না থাকলেও কাছের মানুষদের সাক্ষী রেখেই আইনি বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। দীপঙ্কর দে ও দোলন রায়ের বিয়ের সেই মুহূর্তের ছবি স্যোশাল মিডিয়ার আপলোড হতেই শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। তারপর থেকেই তাঁদের জীবনে শুরু হয় সংসার জীবনের এক নতুন অধ্যায়। দোলনের সঙ্গে অভিনেতা দীপঙ্কর দের এটা দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম পক্ষের সন্তানরা দোলনকে কখনওই বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে জীবনে চলার পথে অনেক বাঁধা অনেক বিপত্তি, হয়েছে মান অভিমানের পালাও। সবই নিজে মুখে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তবুও সব কিছুকে উপেক্ষা করে পথ চলছেন এই তারকা দম্পতি।।
Discussion about this post