মেয়ের সাথে রোম্যান্স করার অফার এসেছিল সইফ আলী খানের কাছে।হ্যা ঠিকই শুনেছেন।মেয়ে সারা আলী খানের সাথে বাবা সইফের রোমান্স করার অফার আসে।তাতে বাবা মেয়ে দুজনের কি প্রতিক্রিয়া ছিল জানেন?বিভিন্ন সিনেমার গল্পে দেখা যায় যে অসমবয়সী প্রেম।কখনো বাবার বয়েসি পুরুষের সাথেও প্রেমের সম্পর্ক ফুটিয়ে তুলতে হয় পর্দায়।বলিউডের অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী এই ধারার ছবিতে কাজ করেছেন।অভিনেতাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক যাই হোক স্ক্রিপট অনুযায়ী পর্দায় তা ফুটিয়ে তুলতেই হয়।তাই বলে বাস্তবের বাবার সাথে মেয়ের ঘনিষ্ঠ দৃশ্য!
এরকমই একটি অফার পেয়েছিলেন সইফ আলি খান ও সারা আলি খান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ‘জওয়ানি জানেমন’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সইফ আলি খান।এই সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল সারা আলি খানেরও।
এই ছবিতে সইফ আলি খান এক বখাটে ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেখানে তাঁকে একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হতে দেখা যায়।আর তাদের মধ্যেই একজন হলেন সারা।
সিনেমার গল্পে না জেনে নিজের মেয়ের সঙ্গেই রোমান্সে জড়ান সইফ। কারণ মেয়ে ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে বড় হয়। আর সইফের সঙ্গে স্ত্রী বিচ্ছেদের কারণে মেয়েকেও দেখেনি সে।তবে সিনেমার স্ক্রিপ্ট না পরেই ছবি করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন সইফ।কিন্তু নিজের বাবার সাথে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করার কথা জানতে পেরেই না করে দিয়েছিলেন সারা।
অভিনেত্রী বলেন,তার বাবা সইফ জাওয়ানি জানেমানের স্ক্রিপ্ট না পড়েই সিনেমাটি করতে রাজি হয়ে যান। তবে পরে তিনি জানতে পারেন সারার রোলের কথা।স্ক্রিপ্টের দাবি অনুযায়ী মেয়ের সঙ্গে না জেনেই প্রেম করবে তাঁর বাবা।এমনকী ঘনিষ্ট দৃশ্যেও দেখা যাবে সইফ ও সারাকে। তাই এই ছবিতো কাজ করতে রাজি হননি সারা।
তাই সারার পরিবর্তে ছবিতে সইফের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল আলায়া ফার্নিচারওয়ালাকে। তবে এই চরিত্রের জন্য পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিল সারা।কিন্তু সারা বাবার সাথে রোমান্স করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে সইফও জানিয়েছিলেন, সারা রাজি হলেও এই বিষয়ে কখনওই রাজি হতেন না তিনি।এরপর সারার পরিবর্তে আলায়া ফার্নিচারওয়ালাকে নেওয়া হয় ওই চরিত্রে।কোনো ছবিতেই এখনো একসাথে কাজ করতে দেখা যায়নি সারা ও সইফ কে। বাবা মেয়ের জুটিকে পর্দায় দেখতে উৎসুক দর্শকরা।
Discussion about this post