আজ কাল বেশির ভাগ মানুষ ফ্যাটি লিভারের স্বীকার। ফ্যাটি লিভার খুব জটিল ও গুরুতর রোগ। দ্রুত এর চিকিৎসা না করতে পারলে এর থেকে হতে পারে আরো কঠিন ব্যাধি। যদি আমরা ঠিক সময়েই ফ্যাটি লিভারকে নিঃশেষ করতে না পারি , তাহলে লিভার সিরোসিসের মতন কঠিন সমস্যার মুখে পড়ার সম্ভবনা থাকে। তাই চিকিৎসকেরা খুব দ্রুত ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাওয়ার বিভিন্ন উপায় বলে থাকেন।এর জন্য সর্ব প্রথম আমাদেরকে ফার্স্টফুড জাতীয় খাবার থেকে দূরে সরতে হবে। নিয়মিত স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হবে এবং কয়েকটি স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাসের মাধ্যমে আমরা এই রোগ থেকে চিরমুক্তি পেতে পারি আমরা।আমাদের চির পরিচিত এবং রান্না ঘরে সর্বদা পাওয়া যায় এই খাবার গুলি।
রসুন
রসুন একটি খুব উপকারী মশলা। এর ঔষধি গুণ অনেক। ফ্যাটি লিভার কে বসে আনার জন্য এই ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া নিয়ম মাফিক রসুন সেবন অনেক জটিল রোগ থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে।
কি ভাবে খাবেন?
এক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন। কাঁচা চিবিয়ে না খেতে পারলে জল দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রসুনকে যোগ করতে পারেন। কম তেল অথচ বেশি রসুন সমৃদ্ধ তরকারি খাওয়াও ফ্যাটি লিভারের রোগীদের জন্য খুব ভালো।এভাবে রসুনের সাহায্যে আমরা আমাদের ফ্যাটি লিভারকে কুপোকাত করতে পারি।
গ্রীন টি
নিয়মিত গ্রীন টি পান করার অভ্যাস খুব ভালো। গ্রীন টি যেমন শরীরের সমস্ত টক্সিক পদার্থকে বাইরে বের করে দিতে পারে। তেমনি ফ্যাটি লিভার দূর করতে সাহায্য করে গ্রীন টি।এই পানীয়তে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । তাছাড়া গ্রীন টি আমাদের বিভিন্ন ক্রনিক ব্যাধি দূর করতেও সিদ্ধহস্ত।
সোয়াবিন
এই রোগকে নিজের নাগালে আনতে গেলে কিন্তু নিয়মিত সোয়াবিন খেতে হবে। তাছাড়া আপনার রোজের খাদ্য তালিকায় এই খাবার বিভিন্ন উপায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এর মধ্যে থাকা উদ্ভিজ প্রোটিন যেমন আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনি ফ্যাটি লিভার কমাতে ভীষন ভাবে সাহায্য করে এই খাবার। তাছাড়া সোয়াবিন হলো প্রোটিনের একটি ভালো উৎস, তাই এই খাবার খেলে সহজেই আমাদের শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি মেটে।
গ্রীন ব্রকলি
গ্রীন ব্রকলি যেমন ক্যালশিয়ামের একটি ভালো উৎস , তেমনি এটি ফ্যাটি লিভারকে দ্রুত খতম করতে পারে। এতে উপস্থিত ফাইবার ফ্যাটি লিভারে থাকা ফ্যাটকে গলিয়ে দেয়। অন্যদিকে ব্রকলিতে মজুত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের প্রদাহ দূর করে।তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারটিকে রাখাই যায়।
ওয়ালনাট
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুক্তি ভুগীরা দিন ৪-৫ টি করে ওয়াল নাট খেতে পারেন। চিকিৎসকেরাও সেই পরামর্শ দেন। ওয়ালনাটে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ফ্যাটি লিভার কমাতে খুবই সাহায্যকারী।তাছাড়া ওয়াল নাট যকৃতের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ,লিভারের স্বাস্থ্যকেও সঠিক রাখে।
Discussion about this post