রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করা হয়েছে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। সেই ঘটনার পর থেকে ফের নতুন করে উত্তাল হয়েছে গোটা বাংলাদেশ। পথে নেমেছে সনাতনী হিন্দুরা। চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। এই ঘটনার মধ্যেই ফের সামনে এল বাংলাদেশের ইসকনের বক্তব্য। বৃহস্পতিবার বলা হয়েছিল, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের কোনও কাজের দায়ভার নেবে না ইসকন। কারণ, তিনি ইসকনের আর কেউ নন। এইবার শুক্রবার সামনে এল নতুন বিবৃতি। যেখানে, ইসকন থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে তারা সমর্থন করছেন। কারণ তার সঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। এমনকি এটাও বলা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে ইসকন কোনওভাবেই দূরত্ব তৈরি করেনি।
ইসকনের যে বিবৃতি সামনে এসেছে তাতে বলা হয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাস এ দেশের হিন্দুদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলিকে রক্ষার জন্য প্রচেষ্টাকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করে ইসকন। এমনকি বলা হয়েছে, তিনি ইসকনের সদস্য নন। এটাই স্পষ্ট করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না।
বৃহস্পতিবার ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানান, কয়েক মাস আগেই তিনজনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তাই তাঁর কোনও বক্তব্যের দায় ইসকনের নয়। তারপর শুক্রবার সকালে আবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবস্থান স্পষ্ট করল বাংলাদেশ ইসকন।
সদ্য পালা বদল হয়েছে বাংলাদেশে। অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে সেখানে। কিন্তু তারপরও শান্ত হয়নি পরশি দেশ। আবারও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে তাঁকে। দাবি তুলে চলছে বিক্ষোভ। থেমে নেই এই রাজ্যও। বিভিন্ন প্রান্তে চলছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ। আৎ তারই মাঝে বাংলাদেশের ইসকনের নতুন মন্তব্য সামনে এল।
Discussion about this post