এবছরের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপ সফরে যান। তারপর থেকে দিল্লি ও মালদ্বীপের বিপাক্ষিক সম্পর্কে ফাটল দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই সংঘাত অনেকটাই প্রভাব বিস্তার করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে নানান বিতর্ক মন্তব্য করেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী, মালসা শরিফ, মরিয়ম শিউনা ও আব্দুল্লাহ মাহজুম মজিদ। পরবর্তীতে ভারতবর্ষের নাগরিকরা মালদ্বীপ বয়কট করেন। মালদ্বীপের সরকার ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানায় ভারতীয় সরকারকে। যার জেরে দুই দেশের দূরত্ব অনেকটাই বেড়ে ওঠে। সম্পর্কের এই ভাঙ্গনে ভারতের খুব একটা ক্ষতি না হলেও মালদ্বীপের অনেকটাই ক্ষতি স্পষ্টভাবে উঠে আসে। পরবর্তীতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোঃ মুইজ্জু ভারত সফরে আসেন। সেখানে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট জানান,“মালদ্বীপ এমন কোনও কাজ করবে না, যাতে ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। মালদ্বীপ ও ভারতের সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান ও আগ্রহের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশের বাণিজ্য ও উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার ভারত। প্রতিরক্ষা-সহ আরও একাধিক ক্ষেত্রে মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।” শুধু তাই নয়, সুর নরম করে মুইজ্জু আরও বলেন, “প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সম্মান করা আমাদের ডিএনএ-তে মিশে রয়েছে। ভারতীয়রা আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখে। ভারতীয় পর্যটকদের আমাদের দেশে স্বাগত জানাচ্ছি।” তিনি এও জানান, যে সকল মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে সমালোচনা করেছিল, তারা পদত্যাগ করেছেন। ভারতের সাথে সম্পর্কে ফাটল খুব একটা সুবিধা জনক নয়, উল্টো অনেকটাই ক্ষতি। সেই ক্ষতি বুঝে যাওয়ার পরে, গলার জোর কমিয়ে ভালোবাসার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন মালদ্বীপ প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর। পাশাপাশি ভারতীয়দের তাদের দেশে ভ্রমণ করতে যাওয়ার আবেদন জানায়।
ব্যাপারটা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। এবার প্রকাশ্যেই তা স্বীকার করলেন বাংলাদেশের নতুন তদারকি সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।...
Read more
Discussion about this post