পাক সেনাবাহিনীতে গনইস্তফা! যেকোনো মুহূর্তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু করতে পারে ভারত, সেই আতঙ্কেই এই পদক্ষেপ পাক সেনার। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর মনোবল ক্ষুন্ন হওয়ায় এই কঠোর সিদ্ধান্ত পাক সেনাদের। এবার সেদেশের সেনা প্রধানকে চিঠি লিখে গণইস্তফার কথা জানালেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ বুখারি।
সম্প্রতি ভারতের পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসী হামলার পরই পাক সেনাবাহিনীতে গনইস্তফার ছবি উঠে এসেছে। ইতিমধ্যেই সিন্ধু ও নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ারে একাধিক সেনা কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার আধিকারিকরাও ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্র বলছে, গত ২ থেকে ৩ দিনে কমপক্ষে ২৫০ জন সেনা অফিসারের কথা দিয়েছেন এবং ইস্তফা দিয়েছেন প্রায় ১২০০ জন পাক সেনা জওয়ান। আর এই ইস্তফার কারণ হিসেবে বেশ কিছু সাধারণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সূত্র বলছে বেশ কিছু মাস আগে পাক সেনাদের তরফ থেকে একটি চিঠির মাধ্যমে বলা হয়েছিল সেনাপ্রধানের আসিম মুনিরের নেতৃত্বে তারা সচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। স্যার পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছিল বেশ কিছু সেনা। আর এখন পাক সেনাবাহিনীতে গত দু’দিনে অধিক পরিমাণে ইস্তফা দেওয়ার ঘটনা বিরম্বনা বাড়াচ্ছে পাক সেনাবাহিনীতে।
উল্লেক্ষ্য, পহেলগাঁও হামলায় ২৬ জন পর্যটকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলার ঘটনার পর হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে ব্যাপক ক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে। পাশাপাশি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জোড়ালো হয়েছে ভারতে।
পূর্বেও দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরপর দুটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারত। সেই আশঙ্কা থেকেই
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ এখন সামরিক আক্রমণ আসন্ন। সুতরাং এই ধরনের পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা সেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’’
তিনি বলেন, কাশ্মীরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হুমকি প্রকট হচ্ছে।”
যখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পাক সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার বার্তা দিচ্ছেন ঠিক সেই মুহূর্তেই পাক সেনাবাহিনীতে গণইস্তফার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একজন ডিজি আইএসপিআর মেজর জেনারেল চিঠি দিয়ে পাক সেনাকে জানিয়েছেন যে কোনওরকম ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হবে না । কোন আধিকারিক স্থাপিত দিতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।
গণ-ইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জওয়ানরাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও গণইস্তফা দিচ্ছেন। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে, তা পরিচালন করবে কে, তা নিয়েই এখন প্রশ্নের মুখে পাক সেনা।
Discussion about this post