অশান্ত বাংলাদেশ। দফায় দফায় উত্তপ্ত হচ্ছে পড়শি দেশ। সে দেশের সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। পাশাপাশি লাগাতার চলছে হিন্দুদের উপর নির্যাতন। এমনকি সে দেশের প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে আতঙ্কিত হিন্দুরা। তারমধ্যেই ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আৎও উচ্চতায় পৌঁছছে। এরই সুবিধা নিচ্ছে জামাত-সহ অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনগুলি। যা ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও তলানিতে ঠেকেছে।
এদিকে শুধুমাত্র চুপ করে বসে নেই নয়া দিল্লি। সংখ্যালঘু নির্যাতন পাশাপাশি ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির এই প্রতিক্রিয়া শুনে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের উপর টার্গেট কিলিং শুরু করেছে। হিন্দুদের উপর আরও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হচ্ছে মন্দির। আর এর মধ্যেই নিজেদের মতো করে গুটি সাজাচ্ছে ভারতও। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। এর প্রতিদ্বন্দ্বী হল এফ ৩৫ আমেরিকা। যা আমেরিকা-সহ ন্যাটোর গোষ্ঠীবদ্ধ দেশগুলি এই প্রযুক্তি সামনে এনেছে। এফ ৩৫ আমেরিকার সঙ্গে সুখোই ৫৭, যা রাশিয়া থেকে পেতে চলেছে ভারত, তুল্যমূল্য বিচার করলে দেখা যাচ্ছে… সুখোই ৫৭-এর রয়েছে ডবল ইঞ্জিন। যা এফ ৩৫ আমেরিকায় রয়েছে একটি ইঞ্জিন। এমনকি তথ্য বলছে সুখোই ভাসমান অবস্থায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টা ফাইট করতে পারে, যেটি এফ ৩৫ পারে সাড়ে তিন ঘন্টা। সুখোই ৫৭, ৩৫ হাজারেরও বেশি অস্ত্র বহণে সক্ষম। যেটি এফ ৩৫, ৩১ হাজার অস্ত্র বহণ করতে পারে। অর্থাৎ, বলাই বাহুল অনেক বেশি শক্তিশালী সুখোই ৫৭।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, সুখোই ৫৭ হল এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গেম চেঞ্জার। ভারত যেভাবে রণসজ্জায় সজ্জিত, তাতে বাংলাদেশের মাথা ব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার, বাংলাদেশের এত হুমকি, ইউনূস সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা, ভারতকে বিপাকে ফেলার কৌশলে আদেও পরিবর্তন আসে কিনা।
Discussion about this post