বাংলাদেশে নানাবিধ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন সেনাবাহিনী। পাশাপাশি সেনাপ্রধান কে অপসারণের ষড়যন্ত্র ও যেন ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে! আর এই আবহে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সেনাপ্রধান কে অপসারণ করে, কাকে সেনাপ্রধানের পদে বসানোর সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে? সেই নিয়ে এখন রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সেনাপ্রধান পদে নিয়োজিত আছেন জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। ২৪ শে জুন ২০২৪ থেকে ২৩ শে জুন ২০২৭ পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য তাকে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর এরই মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেনাপ্রধানের অপসারণ এর দাবি উঠে আসছে। বিশেষ করে দেশবিরোধী কিছু সংগঠনগুলি সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক নেতিবাচক অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের ছক করতে শুরু করেছে। এ সকল দেশ ও বিরোধী সংগঠনের তরফ থেকে প্রকাশ্যে বলা হয়েছে সেনাপ্রধান কে এই পথ থেকে অপসারিত করতে হবে সেরা প্রধানের অপসারণ দেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থাৎ এই সমস্ত সংগঠনের ধারায় বাংলাদেশের রাজনীতি কিছুটা হলেও প্রভাবিত হচ্ছে। সরকারের মাথায় বসে থাকা মহম্মদ ইউনুস এই সমস্ত দেশ বিরোধী সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বলা যায়। তাই স্বভাব এভাবেই বলা যায় বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস সহ জামাত পন্থীরাও সেনাপ্রধানের অপসারণ চায়।
এবার আসা যাক এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক বিষয়টিতে, যদি এই সমস্ত বিরতির সংগঠন দেশের বর্তমান সরকার ও জামাতপন্থীরা দেশের সর্বস্তরে গিয়ে সেনাপ্রধানের অপসারণ এর দাবী তোলে এবং তার ফলে যদি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার জামান এর পদচ্যুতি হয় তবে সেনাপ্রধানের পদে এরপর কাকে দেখতে পাবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ?
অর্থাৎ আইন এবং নিয়ম অনুযায়ী যদি বিবেচনা করা হয় সেক্ষেত্রে জেনারেল ওয়াকারুজ্জামানের বেশ কিছু ব্যাচমেট যে সকল লেফটেন্যান্ট জেনারেল ছিলেন যেমন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান ও লেফটেন জেনারেলের তাব্রিজ তাদের সকলকে অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক একইভাবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের পরে যে সকল সেনা সদস্য ছিলেন তারাও বর্তমানে নেই। এবং এর পরের কয়েকটি ব্যাচের সেনা সদস্যরা এখনো ক্যান্টনমেন্টে আছেন। এবার যদি জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের অপসারণের পর কাউকে সেনাপ্রধান করা হয় তবে সেটি লেফটেন্যান্ট জেনারেল শামীম। আর বাকি যে সকল সদস্য রয়েছেন তারা সকলেই কনিষ্ঠ সদস্য। আর তালিকার প্রথমে যে মোহাম্মদ শামীমের নাম উঠে আসলো তারপরে যদি কাউকে সেনাপ্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয় তবে সেই নামটা হল লেফটেন্যান্ট জেনারেট কামরুল হাসান, তিনি ২০২৩ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে নিয়োজিত হয়েছেন। আরো বাকি দুজনের নাম উঠে আসছে তারা অত্যন্ত কনিষ্ঠতম আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাদেরকে পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে আসীন করা হয়েছে। এরপর সবচেয়ে আলোচিত নাম জেনারেল ফয়জুর রহমান । যে নামটি ইতিমধ্যেই বহুল চর্চিত। তিনি কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। এরপর আরও একটি নাম উঠে আসছে সেটি হল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মইনুর রহমান। যেখানে বলা যায় এক কথায় সকলেই কনিষ্ঠতম সেনা সদস্য।
পাশাপাশি পুলিশের আইজিপির সকলকেই অবসরে পাঠানো হয়েছে, যার ফলে নতুন করে পুলিশের আইজিপি নিয়োগ করা হয়েছে। সেনা প্রধানের পদচ্যুতির পর যে সকল সেনাপ্রধানের নাম তালিকা উঠে এসেছে, গোলাম আজমের পুত্র আব্দুল আজমি তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে সেনাপ্রধানের অবসান হলে এখন কি হতে পারে, এবং বেশ কিছুদিন আগে ই এই গোলাম আব্দুল আজমি এই প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকার করেন, তিনি বহু বছর আগেই বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন, তাই তিনি যদি এই মুহূর্তে সেনা বাহিনীতে থাকতেন তাহলে তিনি সেনাপ্রধানের পদে বসার সম্ভাবনা জোরালো হতো, এবং তাকে ওই সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয় আপনি যদি অবসর গ্রহণ না করে চাকরিরত থাকতেন এবং এখন যদি আপনাকে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হতো তাহলে কি করতেন, এই প্রশ্নের উত্তরে কি বললেন গোলাম আযমের পুত্র শুনুন,,,
বাইট
অর্থাৎ তিনি প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এই মুহূর্তে তার কাছে সেই সুযোগ নেই অর্থাৎ তার অবসর গ্রহণের পর তার সেনাপ্রধান হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু সরকার চাইলে কি না করতে পারে অর্থাৎ কোন ক্ষীন সম্ভাবনার বার্তা কি তিনি দিলেন সেই প্রশ্নই উঠছে।
Discussion about this post