অফিস টাইম হোক বা দুপুরের ফাঁকা সময়, ছুটির দিন হোক বা অতিরিক্ত ভিড়ের সময় লাইনে দাঁড়িয়ে মেট্রোর টিকিট কাটা একটা ঝঞ্ঝাট। লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর পর অনেক সময়ই দেখা যায় খুচরো টাকার অভাবে টিকিট দিতে অস্বীকার করেন রেলকর্মীরা। তখনই শুরু হয় তর্ক বিতর্ক। এমনকি এই সমস্যা নিয়ে মেট্রো রেলের কর্মীদের সঙ্গে বচসাও বাঁধে যাত্রীদের। এবার এই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি দিতে চাইছে মেট্রো কর্তারা। সূত্রের খবর, কলকাতা মেট্রো খুব শীঘ্রই চালু করতে চলেছে ইউপিআই পেমেন্টর মাধ্যমে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা।
মঙ্গলবারই কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি গিয়েছিলেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদা স্টেশনে। তাঁর তত্ত্বাবধানে দীর্ঘক্ষণ চলে এক বিশেষ ট্রায়াল রান। যেখানে মেট্রোর টিকিট কাউন্টারে বসানো ডিসপ্লে বোর্ডে ফুটে উঠছিল কিউআর কোড। গুগল পে, ফোন পে বা পেটিএম-এর মতো ইউপিআই পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে সেই কিউআর কোড স্কান করে টিকিট কেটেছেন যাত্রীরা। আর তাতে মিলছে কিউআর কোড বেসড টিকিট। একই কায়দায় মেট্রোর স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করা যাবে। টিকিট কাউন্টারে থাকা কর্মীকে কোথায় যেতে চান এবং ইউপিআই পেমেন্ট করতে চান বললেই তিনি সামনে থাকা ডিসপ্লে বোর্ডে কিউআর কোড দিয়ে দেবেন।
তাহলেই নির্ঝঞ্ঝাটে করা যাবে পেমেন্ট। ফলে দৈনন্দিন খুচরোর ঝামেলা বা সঙ্গে নগদ টাকা না থাকার সমস্যা থেকে মুক্তি। কলকাতা মেট্রো সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা এবং এসপ্লেনেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত গ্রিন লাইনে এই ইউপিআই পেমেন্টের সুবিধা পাওয়া যাবে। পরবর্তী সময়ে দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ ও অন্যান্য মেট্রো লাইনে এই সুবিধা উপলব্ধ হবে ক্রমান্বয়ে।
মেট্রো রেল জানিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমস বা ক্রিস-এর সহায়তায় ইউপিআই ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে চলেছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের দাবি, এই পরিষেবা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে অনেক সমস্যা মিটবে। তবে দমদম বা শিয়ালদা মেট্রো স্টেশনে আরও স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন বসানোর দাবিও জানিয়েছেন অনেক যাত্রী।
Discussion about this post