শুক্রবার সন্ধ্যাতেই ৫০ দিনের জেলযাত্রা কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শনিবার দুপুরেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে একের পর এক বোমা ফাটালেন। লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শনিবার দাবি করেন, এবার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির মেয়াদ মাত্র কয়েকমাস। তার পরই কুর্সিতে বসবেন মোদির ডেপুটি অমিত শাহ। কেজরির এই মন্তব্যের পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ওরা (বিজেপি)প্রশ্ন তোলে ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষমতায় এলে আপনাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, আমি বিজেপিকে জিজ্ঞেস করি আপনাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এরপরই তিনি বলেন, আপনারা ভাবছেন কেজরিওয়াল এসব কী বলছেন?…. মোদিজিই হবেন। না মোদিজি আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ৭৫ বছরে পা দেবেন। বিজেপির অন্দরে ২০১৪ সালে মোদিজি নিজেই নিয়ম চালু করেছিলেন যে বিজেপির যিনিই ৭৫ বছর বয়সী হবেন, তাঁকেই অবসর নিতে হবে। সবচেয়ে আগে আডবানিজীকে অবসর নেওয়ানো হয়েছিল। এরপর মুরলী মনোহর যোশী, তারপর যশষবন্ত সিনহা, সুমিত্রা মহাজনকে অবসর নেওয়ানো হয়েছিল। এবার মোদির পালা। ফলে মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হলেও পরের দুমাসে ওরা অমিত শাহকেই প্রধানমন্ত্রী করবে।
এখানেই থেমে থাকেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, আমি দেশের মানুষকে সতর্ক করতে চাই। মোদিজী নিজের জন্য ভোট চাইছেন না। তিনি অমিত শাহকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য ভোট চাইছেন। আজ মোদিজীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, মোদির গ্যারান্টি কে পূরণ করবেন? তবে তিনি এও বলে দেন, বিজেপি এবার সরকার গড়তে পারবে না। কেজরিওয়ালের এই মন্তব্যের পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ বিজেপির অন্দরে এটাই অলিখিত নিয়ম, ৭৫ হলেই তাঁকে অবসর নিতে হয়। ফলে এবার জিতলে স্বয়ং মোদিও কি সেই নিয়মে অবসর নেবেন, নাকি নিয়ম ভাঙবেন।
Discussion about this post