শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে তৎপর ছিল ইডি। সেই আর্জি জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁরা। সোমবার সেই আবেদনই মান্যতা পেল। সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন শাহাজাহান। গত শনিবার বসিরহাট আদালতে ইডি আবেদন জানিয়েছিল, শাহজাহানকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চায়। জেলে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসহযোগিতার জন্য শাহজাহানকে গ্রেফতার করে তাঁরা। সোমবার বিশেষ ইডি আদালতে তাঁকে হাজির করিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছে, জমি দখল করে তা বিক্রি করত শাহাজাহান। সেই কালো টাকা চিংড়ির ব্যবসায় ঢালা হত সাদা করার জন্য। আদালতে ইডির দাবি, চিংড়ি বেচা-কেনা করে মোট ৩১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বেআইনি পথে পাচার করেছে শাহজাহান। সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাঁকে ১২ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তারপরই শাহজাহানকে গ্রেফতার করে ইডি। তার বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করার অভিযোগও আছে। ইডির আইনজীবী সোমবার আদালতে জানিয়েছেন, শাহজাহান নিজের দলের লোককেই ভেড়ির মালিক বানাত। তারপর তাদের দিয়েই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমি দখলের কালো টাকা জমা করাত। দিনের পর দিন এইভাবে বেআইনি অর্থ লেনদেন হয়েছে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডির মূল অভিযোগ, দেশের সরকারি অর্থ তছরুপ করে বিদেশে পাচার মামলায় প্রায় ৩১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা এ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আরও ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার হদিস মিলছে। কিন্তু জেলে জেরার সময়ে শাহজাহান এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না। শাহজাহানের ফাঁসি চেয়ে আদালত চত্বরে এদিন বিক্ষোভও দেখান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, মহিলাদের ওপর অত্যাচার থেকে শুরু করে একাধিক সমাজবিরোধী কাজ করেছে শাহাজাহান। শুধু আইনজীবী হিসেবে নন, সাধারণ মানুষ হয়ে তারা চান শাহজাহানের ফাঁসি হোক।
: এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। তারপর দল থেকে অবসর নেয় রোহিত এবং বিরাট। অলিম্পিকে জ্যাভলিনে রূপো জিতেছে নীরজ...
Read more
Discussion about this post