নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট বড় বালাই। ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শোনা যায় হাজারও প্রতিশ্রুতি। মানুষের মন জয় করার চেষ্টা। রামের নাম শুনলে যিনি আগে রেগে যেতেন, রাজ্যের সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামনবমী উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করলেন। পশ্চিমবঙ্গে রামনবমী উদযাপনের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি রাম নবমী উদযাপনে সামিল হয়। মূলত বিজেপির কারণে এবং গেরুয়া শিবিরকে দেখাদেখি তৃণমূলও তাদের রাজনৈতিক সিলেবাসে রামকে জায়গা দিতে শুরু করেছে।
আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমী উপলক্ষে রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই দিন গোটা রাজ্যে ছুটি ঘোষণা করেছে নবান্ন। স্কুল, কলেজ, অফিস সব ওইদিন বন্ধ থাকবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রামকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিজেপির সমর্থন বাড়ছে, তা দেখে রাম অনুরাগীদের ভোটে ভাগ বসাতে তৃণমূল সরকার এই কৌশল নিয়েছে। যাতে জনমানসে প্রতিষ্ঠা করা যায়, রামকে ভালবাসার প্রশ্নে তারা বিজেপির থেকে কোনও অংশে কম নয়।
উল্লেখ্য এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে উত্তর চব্বিশ পরগনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়কে উদ্দেশ্য করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে একরাকশ ক্ষোভ উগরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী। ‘বুকের পাটা থাকলে সামনে আয় বলে’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা তাঁকে গালি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাম নামকে গালি বলে মনে করেন বলে আক্রমণ শানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে ২০১৯ এর পর। এখন বিজেপির হাওয়া রাজ্যে অনেকটা বেশি। সেই আবহে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট বৈতরণী পার হতে এবার সেই রামের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
Discussion about this post