ফোড়ন ছাড়া রান্না হয়না।কখনো শুরুতে আবার কখনো শেষে।বেশিরভাগ পদেই বিভিন্ন মসলার ফোড়ন দেওয়া হয়।বাঙালি, মরাঠি, মোগলাই, দক্ষিণী বা গুজরাটি— প্রদেশ এবং পদ অনুযায়ী ফোড়ন বদলে যেতে পারে।কিন্তু ফোড়ন দিতেই হবে।কিন্তু রান্নায় কেনো ফোড়ন দেওয়া হয়?অনেকেই মনে করেন স্বাদ ও গন্ধের জন্য ফোড়ন দেওয়া হয়।তা অবশ্য ঠিক।তবে শুধু স্বাদ নয় রান্নায় ফোড়ন দেওয়ার আরও অনেক গুণ রয়েছে। জানেন সেগুলি কী কী? আসুন আজকের প্রতিবেদনে জেনে নি রান্নায় ফোড়ন এর কী কী গুণাবলী।
১. স্বাদের জন্য
সামান্য তেলের মধ্যে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, জিরে, সর্ষে কিংবা পাঁচফোড়নের ফোড়ন দিলে একটা সুন্দর গন্ধ খাবারে অন্য মাত্রা যোগ করে।আর তাই ঝাল থেকে ঝোল সবেতেই ফোড়ন দেওয়া হয়।খুব সাদামাটা খাবারেও শুধু ফোড়ন দিয়েই স্বাদ বাড়ানো যায়।
২. হজমে সহায়ক
শুধু স্বাদের জন্য নয়,ফোড়ন হজমশক্তিও বাড়িয়ে তোলে।অনেক নিরামিষ রান্নাতে ফোড়ন হিসাবে হিং ব্যবহার করা হয়।পেটের নানান সমস্যা গ্যাস, অম্বল নিরাময়ে দারুণ কাজ করে হিং।তাই খাবারে ফোড়ন দিলো তা হজম করতে সাহায্য করে।
৩. পুষ্টি শোষণ পটল
ফোড়ন দেওয়া তেলে থাকে পুষ্টি গুন।তাই সবসময় রান্নার শুরুতে তেলের উপর ফোড়ন দেওয়া হয়।এতে ঐ রান্নায় ব্যবহৃত তেলের ও পুষ্টিগুন বারে। ডাল, সব্জির মধ্যে থাকা ‘ফ্যাট-সলিউবল’ ভিটামিন শোষণ করতেও সাহায্য করে।
৪. অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের উৎস
ফোড়ন এ দেওয়া বেশ কিছু মসলার মধ্যে রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট। যেমন সর্ষে, জিরে, পাঁচফোড়ন, কারিপাতা।অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ফোড়নগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহের হাত থেকেও শরীরকে রক্ষা করে।তাই ফোড়ন স্বাদ এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্য ও উপকারী।
৫. খাবার সংরক্ষণ করে
খাবার সংরক্ষণ করে রাখা বা প্রিজার্ভ করে রাখার অন্যতম প্রকৃতিক উপায় ফোড়ন।এ এক পুরোনো প্রথা। ব্যাক্টেরিয়া ফাঙ্গাস এর হাত থেকে বাঁচায় ফোড়ন।রান্নায় ফোড়ন দিলে খাবার নষ্ট হয়না।
Discussion about this post