দিন দিন তাপমাত্রা পরিমান ক্রমশ বাড়ছে। তার জন্য প্রতক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আমরাই দায়ী। এ বছর তাপমাত্রার পরিমাণ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের ১৫ টি জেলায় লাল সতর্ক বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। আর এই উর্ধমুখী গরমে একটুখানি প্রশান্তির হাওয়া পেতে অনেকেই বাড়িতে কিংবা অফিস-আদালতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি লাগান। এসি কেনার সময় অনেকেই তাড়াহুড়া করেন। যাদের হাতে সময় নেই তারা অনলাইন ঢুঁ মেরে ঘরে বসেই এসি কিনে থাকেন।
অনলাইনে এসি কিনতে গিয়ে ঠকে যেতে পারেন। বেশ কিছু বিষয় মাথায় না রাখলে জলে যাবে সব টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্ডার করার আগে কয়েকটি টিপস মাথায় রাখা উচিত। তাহলে নিশ্চিন্তে এসি কিনে তা ব্যবহারও করতে পারবেন। সার্ভিস দেবে অনেক বছর। কী সেই টিপস আসুন জেনে নেওয়া যাক।
১.অনলাইনে এসি কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। যেমন ডেলিভারি আর ইন্সটলেশন চার্জ কেমন, ওয়ারেন্টি ঠিকঠাক আছে কিনা এগুলো জেনে নেবেন।
২.এসি কেনার ক্ষেত্রে সবসময় ভালো ব্র্যান্ড বেছে নেবেন। সুনাম ও রিভিউ দেখে কেনার পাশাপাশি আফটার সেল সার্ভিস ভালো এমন এসি কিনবেন। এছাড়াও আশেপাশে সার্ভিস সেন্টার আছে কিনে দেখে নেবেন।
৩.ভালো ফিল্টার আছে এমন এসি কিনুন। এসির এয়ার ফিল্টার বাতাস থেকে ময়লা এবং জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি এটি ধোঁয়া এবং গন্ধও দূর করে। উন্নতমানের ফিল্টার বাতাস পরিষ্কার করার পাশাপাশি ধুলা এবং ময়লা যেন কয়েলে না পৌঁছায় সেটাও নিশ্চিত করে। এতে এসির কর্মক্ষমতা বাড়ে।
৪. চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ইনভার্টার ছাড়া এসি কিনবেন নাকি সহ? বিদ্যুতের খরচ সাশ্রয় করতে চাইলে অবশ্যই ইনভার্টারসহ এসি কেনার চেষ্টা করুন। ইনভার্টার থাকলে ঘর প্রয়োজনমতো ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায় কম্প্রেসর। ইনভার্টারসহ এসির কম্প্রেসর কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে, তাই সাধারণ এসি থেকে এই এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় বেশ খানিকটা কম হয়।
৫.রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক মাত্রার এসি নির্বাচন খুবই জরুরি। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আরাফাত রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এসি বিস্ফোরিত হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এসিকে বাড়তি লোড দেওয়া। অর্থাৎ যে ঘরে ৫ টনের এসি প্রয়োজন সেখানে যদি লাগানো হয় ২ টনের এসি, তাহলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
Discussion about this post