শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে বেনজির আক্রমণ তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বামপ্রার্থীর শিক্ষা, বংশ পরিচয় নিয়ে আক্রমণ জোড়াফুল শিবিরের প্রার্থীর। রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে বিদায়ী সাংসদ তথা পোড় খাওয়া আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজনীতির ময়দানে দুই প্রার্থী জোর কদমে প্রচার সারছেন। শনিবার ভোট প্রচার ও জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে চাতরা এলাকায় ভোট প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী। সেই জনসংযোগের মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী প্রার্থীকে নিয়ে কুরুচিকর আক্রমণ করেন কল্যাণ। দীপ্সিতার শিক্ষা, বংশ নিয়ে বেনজিরভাবে সুর চড়ান তিনি। এদিন দীপ্সিতার পাশাপাশি তাঁর দাদু পদ্মনিধি ধরকে নিয়েও বেলাগামভাবে আক্রমণ করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী। প্রয়াত বাম বিধায়ক পদ্মনিধি ধর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বলে দাবি করেন বিদায়ী সাংসদ।
প্রসঙ্গত দীপ্সিতা ধর দিল্লির জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। এদিন বাম প্রার্থীর গবেষণাপত্র জমা করা নিয়েও বেঁধেন কল্যাণ। সেই সঙ্গে দেশের দুই অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলি বাম আন্দোলনের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত সেই যাদবপুর ও জেএনইউ নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত রাজনীতির ময়দানে দীপ্সিতা ধর এই প্রথম লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাম ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত দীপ্সিতা ধর প্রচারে বেরিয়ে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, প্রচারে বেরিয়ে মানুষের সংযোগে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন দীপ্সিতা। রাজ্যে তৃণমূলের একাধিক দুর্নীতি ও হিংসার ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ রয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। সেই আবহে লোকসভার আগে প্রতিপক্ষের জনসমর্থন দেখে কি কিছুটা বেলাগাম হয়ে উঠলেন কল্যাণ? এই প্রশ্ন উঠছে হুগলির রাজনীতি অঙ্গনে।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে তাঁর দল তৃণমূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। লোকসভা...
Read more
Discussion about this post