ইতিমধ্যেই দেশে দুই দফার ভোটগ্রহন শেষ হয়েছে। বাকি আর পাঁচ দফা। এরমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্র নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এই আবহে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। বুধবার কমিশন ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্রের সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল। ভোটারদের আস্থা বাড়াতে এবার ভিভিপ্যাটের নজরদারিতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, দেশের সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (সিইও) কমিশন নির্দেশ দিয়েছে ইভিএমের সঙ্গে সিম্বল লোডিং ইউনিটগুলিও আলাদা করে সংরক্ষণ করতে হবে।
ইভিএমের পাশেই থাকে ভিভিপ্যাট যন্ত্র। এই যন্ত্রে থাকে সিম্বল লোডিং ইউনিট। এর মাধ্যমেই ভোটাররা ভোট দেওয়ার পর প্রতীকটি দেখতে পান। অর্থাৎ তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তাঁর প্রতীকটি কিছুক্ষণের জন্য ফুটে ওঠে ভিভিপ্যাট যন্ত্রে। আর সেই তথ্য জমা থাকে সিম্বল লোডিং ইউনিটে। ফলে ভোট গণনার সময় সমস্যা হলে এই দুটি ইউনিট মিলিয়ে নেওয়া যাবে। কমিশন মনে করছে এই ইউনিট ভোট গণণার পরও কিছুদিন সংরক্ষণ করলে বিতর্ক এড়ানো যাবে।
এই মর্মেই বুধবার নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ভোট গণনার পরে আরও ৪৫ দিন পর্যন্ত প্রতিটি সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ রাখতে হবে। ভোটগ্রহন হয়ে যাওয়ার পরই এই ইউনিট নির্দিষ্ট গোলাপী পেপারে সিল করতে হবে। তাতে স্বাক্ষর করবেন ওই কেন্দ্রের সমস্ত প্রার্থীরা। এই পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিও করে রাখতে হবে। এরপরই সেটি একটি ট্রাঙ্কে সুরক্ষিত রাখবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা জেলাশাসক। উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি সংগঠন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল ইভিএমের সঙ্গে সমস্ত ভিভিপ্যাট যন্ত্রের হিসেব গণনা করতে হবে। ওই মামলার রায়েই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল সংশয় দূর করতে সিম্বল লোডিং ইউনিট সংরক্ষণ করতে হবে। এবার সেটাই করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
Discussion about this post