বয়স হয়েছে, তাই বুথ পর্যন্ত হেঁটে গিয়ে ভোট দেওয়ার মতো শারীরিক ক্ষমতাও নেই। এদিকে যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতেই হবে। সেই কথা মাথায় রেখে যেদিন যে কেন্দ্রে ভোট থাকবে সেদিন সেই কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করবেন ভোটকর্মীরা। দেশের সমস্ত নাগরিকদের ভোট দান গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু বিশেষ ভাবে সক্ষম ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের আর ভোট দেওয়া হয় না। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সেই সব নাগরিকদের কথা মাথায় রেখেই বাড়ি বাড়ি ভোট গ্রহণ করার উপর বিশেষ নজর দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রবীণদের ভোট যাতে গোপন থাকে তার ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছিল।
কিন্তু বুধবার সকালে ঘটলো অন্য ঘটনা। জানা যায়, এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর চৌধুরীপাড়া এলাকায় অনুপস্থিত প্রবীণ বা বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলছিল ভোট সংগ্রহ প্রক্রিয়া। সেই সময়তেই এলাকায় ভোট কর্মী সহ ব্যালাড বক্স আটকে দেয় স্থানীয়রা। অভিযোগ, যে ব্যালট বক্সে ভোট গ্রহণ করছেন সেটিকে সিল না করেই ব্যালট বক্স খোলা অবস্থায় রয়েছে। আর তাতেই চলছে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ। এ দৃশ্য দেখার পরই ভোটকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। এরপরই ভোটকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। শুধু স্থানীয়রাই নয়, ঘটনার কথা চাউর হতেই বিক্ষোভে সামিল হয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিছুক্ষণ পর পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলেও, কেন ব্যালট বাক্স সিল করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে, ব্যালট বক্সের সিল না থাকার জন্য বিজেপিকেই কাঠগোড়ায় তুলেছে ঘাষফুল শিবির।।
Discussion about this post