পিন্টু কুণ্ডু, দঃ দিনাজপুর- ভোটের মুখে বিতর্কে জড়ালেন বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি বিরোধীদের হাতে অভিযোগের আরেকটি ইস্যু তুলে দিয়ে দলকেও বেকায়দায় ফেললেন তিনি। সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ বালুরঘাট থেকে যাত্রা শুরু করে ফারাক্কা এক্সপ্রেস। ট্রেনটির নতুন যাত্রাপথের সাক্ষী থাকলেন সুকান্ত। ফুল ছিটিয়ে ও জয় শ্রীরাম স্লোগানের মধ্যে দিয়ে শুরু হল ফারাক্কা এক্সপ্রেসের যাত্রা। এরপরই সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের প্রশ্ন , ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর কেমনভাবে বিজেপি প্রার্থী উপস্থিত থাকলেন সরকারি অনুষ্ঠানে। লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় রয়েছে রায়গঞ্জ, দার্জিলিং, বালুরঘাটের ভোট। আসন্ন নির্বাচনে বাংলার ভোটকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। দফায় দফায় বাংলায় মোদী, অমিত শাহের ভোট প্রচার সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। এমনকি বিজেপির ইস্তেহারেও বাংলার প্রতি যে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট। আর সেখানে দাঁড়িয়ে কিনা এমন কর্মকাণ্ড। স্বাভাবিকভাবে এতে বিরোধীপক্ষ সুযোগ পেয়ে গেল। ট্রেনের নতুন যাত্রাপথের উদ্বোধনের শেষে বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদের মন্তব্য, এবার তাকে দিল্লি পাঠানোর দায়িত্ব ভোটারদের। যা বিতর্কের মাত্রাকে বহুগুণে চড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ঠ। তাদের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের শাসকদলের ক্ষেত্রে এক ও বিরোধী শিবিরের ক্ষেত্রে ভিন্ন। সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে ঝড় বিধ্বস্ত দুর্গতের বাড়ি তৈরি নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সুকান্তর এমন কাণ্ডে ইতিমধ্যেই কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিপ্লব মিত্র। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে, কমিশন ব্যবস্থা নিলে মুখ পুড়বে রাজ্যের শাসকদলের প্রধান বিরোধী গোষ্ঠীর। আর ব্যবস্থা না নিলে আরও একটি বিজেপি বিরোধীতার সুযোগ হাতে পাবে তৃণমূল।
Discussion about this post