হাইকোর্টের রায়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কথায়, চাকরিপ্রাপকদের পিঠে ছুরি মেরেছে রাজ্য সরকার। চোরেদের চাকরি বাঁচাতে অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়েছিল। ৫ মে ২০২২ এ মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন আদালতের নির্দেশে, যারা যারা অতিরিক্ত পদ তৈরির পরিকল্পনায় যুক্ত, সিবিআই তাঁদের চাইলেই হেফাজতে নিতে পারে। ওই দিনের বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল, তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানান শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর হুংকার, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করে ছাড়বেন তিনি। তার কথায়, ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছিলাম। আমি আর সুকান্ত মজুমদার মিলে ওনাকে প্রাক্তন বানাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে ছোটদের রানী বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বাংলায় আগামীতে তৃণমূল সরকারকে সরিয়ে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠানের নিদান দেন। এছাড়াও বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি শোনা যায় শুভেন্দুর গলায়। বলেন, যেদিন বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবে, তারপরের মাস থেকে অন্নপূর্ণা ভান্ডারে ৩০০০ টাকা করে পাবে সাধারণ মানুষ। এছাড়াও সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা, প্রতি বছর এসএসসি নিয়োগ, পরীক্ষার পর ওএমআর শিটের কপি প্রার্থীর হাতে তুলে দেওয়া, মেধার ভিত্তিতে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি শোনা যায় বিরোধী দলনেতার গলায়। যদিও এরপর শাসক দল প্রশ্ন তুলছে, মোদি সরকার কুর্সিতে বসার পর তার প্রতিশ্রুতি ছিল, বেকারত্ব দূর করা, জনগণের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া। সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবে প্রতিফলন কবে হবে?
Discussion about this post