২০১৯ এ লোকসভা নির্বাচনের তাঁবড় সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গকে কার্যত গড় বলা হয় গেরুয়া শিবিরের। সেই উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচন শেষ হলো গত শুক্রবার। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট মেটার পরই তিন কেন্দ্রে তৃণমূলের আনন্দ মিছিল জানান এবারের লোকসভায় উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের দখলে। তবে তিন কেন্দ্রেই গতবার জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সন্ধ্যায় ভোট শেষ হওয়ার পরেই দেখা যায়, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি সব কয়টি কেন্দ্রেই কর্মীদের নিয়ে বিজয় মিছিলে বেরিয়ে পরে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা দিনের ভোটপর্ব নিয়ে এদিন বেশ কিছুটা আত্মবিশ্বাসী দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। ভোর শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির বিচরণ শুধুই মিডিয়া আর সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাঠে-ময়দানে নেমে মানুষের জন্য কাজ করার লোক বিজেপিতে নেই। তাই মানুষও বিজেপির সঙ্গে নেই। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী নিজের বুথের জন্য একজন পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত জোগাড় করতে পারেননি। এই একটি ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, বাংলায় বিজেপির বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।’ তিন কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও কিছু বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে। মোট অভিযোগের সংখ্যা ৫৫৬। তার মধ্যে কোচবিহার থেকে সব থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে, যার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৯। জলপাইগুড়ি ১২৫। আলিপুরদুয়ার ১৬২। অশান্তির ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবাই কোচবিহারের বাসিন্দা। উত্তরবঙ্গ কে এ বছর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে শাসক-বিরোধী। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গে একাধিক নির্বাচনী প্রচার এবং অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গে ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ বঙ্গে বিজেপির ভোটভাগ্য কতটা বদলাতে পারবে তার উত্তর জানা যাবে ৪ই জুন।
ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল। অনিশ্চিত হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ভবিষ্যৎ। যোগ্য হয়েও কেন চাকরি খোয়াতে...
Read more
Discussion about this post