অবশেষে জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন কেজরিওয়াল। তবে এই সময়সীমা পেরনোর পরেই তাঁকে পুনরায় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এই একই দিনে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিয়েছিল ইডি। তার দু সপ্তাহ পরে তাঁকে পাঠানো হয় তিহাড় জেলে।
ইডির গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আইনজীবীদের দাবি ছিল, নির্বাচনী প্রচার থেকে তাঁকে আটকাতেই ইচ্ছাকৃতভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন ছিল, আর কতদিন বন্দি থাকতে হবে? দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কে। তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ স্পষ্ট করতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, লোকসভা নির্বাচনের কারণে কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে দিল্লির আবগারি নীতিতে বদল আনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।
পরে যদিও সেই নীতি বাতিল করা হয়। সিবিআই এর সেই সময় দাবি ছিল, ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতিতে আপ সরকার কয়েক জন মদ ব্যবসায়ীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। তার বদলে বিপুল অর্থের লেনদেন হয়েছিল। যদিও প্রথম থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি সরকার। ২০২২ সালের সর্বপ্রথম আবগারি দুর্নীতি জনসমক্ষে আনে সিবিআই। এই দুর্নীতি তদন্ত চালিয়ে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হন। দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া, তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের কন্যা কে কবিতা, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ এখনো পর্যন্ত ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে এই মামলায়।
Discussion about this post