সিবিআইয়ের অপব্যবহার করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অভিযোগকে মান্যতা দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র যে সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। সিবিআই এফআইআর দায়ের করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি প্রয়োজন বলে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ।তদন্ত করতে গেলে সিবিআই-কে রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে, এই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সিবিআই স্বাধীন সংস্থা, তাই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়, এই যুক্তিই দেখিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করার পরেও সিবিআই রাজ্যের অনুমতি ছাড়া একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করে। যার বিরুদ্ধে, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করে রাজ্য সরকার। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। এদিন তিনি আদালতের কাছে অর্জি জানান, রাজ্যের অনুমতি বা ছাড়া সিবিআই কোনও মামলায় তদন্ত না করার। রাজ্যে ঢোকার আগে সিবিআই’র অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। না হলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আদালতে জানান আইনজীবী কপিল সিব্বল।
কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা আদালতে জানান, সিবিআই কেন্দ্রের অধীন নয়। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা। কেন্দ্র তাদের নিয়ন্ত্রণ করে না। কেন্দ্র কোনও এফআইআর দায়ের করে না। ফলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করায় এই মামলা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়। সলিসিটর জেনারেল বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা। কেন্দ্র তাদের নিয়ন্ত্রণ করে না। কেন্দ্র কোনও এফআইআর দায়ের করে না। এই মামলা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।’’ আদালতে এই মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগও তুলেছেন তিনি। বলেন, ‘‘এর আগে একই বিষয়ে অন্য দু’টি মামলা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এই কোর্টে সেই তথ্য গোপন করা হয়েছিল। কী ভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে তথ্য গোপন করা যায়? এটাই মামলা খারিজের অন্যতম কারণ হতে পারে।’’ উল্লেখ্য, এর আগে একই বিষয়ে অন্য দু’টি মামলা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে।
Discussion about this post