অপারেশন সিঁদুর এখনও জারি আছে। ভারতের পশ্চিম প্রান্তে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানের মাটিতে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারতীয় সেনা। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও ভ্যালিতে হওয়া ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দিন পনেরো পর অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারতীয় সেনা। এরপর আঘাত পাল্টা প্রত্যাঘাতের আড়ালে রীতিমতো ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু ভারতীয় সেনার সুদক্ষ কৌশল এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার জন্য পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ও বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যদিও পাকিস্তানের করা একটি হামলাও ভারতের আকাশ সীমায় প্রবেশ করতে পারেনি , তার আগেই পাকিস্তানী ড্রোন ও ক্ষেপনস্ত্র ধ্বংস করেছিল ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। চার দিনের এই যুদ্ধে ভারত পাকিস্তানের ১১ থেকে ১২টি সামরিক ও বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে আংশিক ধ্বংস করেছে। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তছনছ করে দিয়েছে। তারপরই পাকিস্তান সেনা নতজানু হয় ভারতীয় সেনার সামনে। সংঘর্ষ বিরতি হয়। কিন্তু মনে রাখা দরকার ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুর ছিল জঙ্গি ও জিহাদি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদীরা পৃথিবীর যে কোনায় লুকিয়ে থাকুক না কেন, ভারত তাঁদের খুঁজে খুঁজে মারবে। এখান থেকেই উঠে আসছে বাংলাদেশের নাম।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশও জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য। বাংলাদেশের জিহাদি সংগঠনগুলিও খিলাফতের ডাক দিয়ে প্রকাশ্যে মিছিল করছে। বাংলাদেশ সরকার দেখেও না দেখার ভান করছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মার্চ ফর খিলাফত, মার্চ ফর গাজা নামে দুটি বিশাল কর্মসূচি হয়েছে। যা নিয়ে গোটা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যম খবর করেছিল। বাংলাদেশের একাধিক জঙ্গি সংগঠন এই মুহূর্তে মুক্ত, ইউনূস প্রশাসন তাঁদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। পাশাপাশি শতাধিক শীর্ষ জঙ্গিকে জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছে ইউনূস সরকার। যা নিয়ে ভারত বারংবার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে। এবার ভারত যেমন পাখিসনে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করল, তেমনই বাংলাদেসেও বড় কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড যার সদর দফতর কলকাতায়। এই কমান্ডের অধীনেই ভারত ও বাংলাদেশের সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত। একাত্তরের যুদ্ধে এই ইস্টার্ন কমান্ডই পাকিস্তানী সেনাকে হারিয়েছিল। এবার তারা শুরু করেছে এক ভয়ানক যুদ্ধ মহড়া। যার নাম “অপারেশন তিস্তা প্রহার”। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ব সীমান্ত এমনিতেই রাফালের মত যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা আছে উত্তরবঙ্গের হাসিমারা এয়ার বেসে।
এবার জানা যাচ্ছে পাকিস্তান সীমান্তের মতো পূর্ব সীমান্ত বিশেষ করে শিলিগুড়ি করিডর ও অসমের মতো কিছু এলাকার আকাশ ক্ষেপনস্ত্র ও এস-৪০০ মোতায়েন করা হয়েছে। এবার জানা যাচ্ছে অপারেশন তিস্তা প্রহারের আওতায় সুপারসনিক ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল মোতায়েন করে ফেলেছে ভারত। অর্থাৎ পুরোদস্তুর যুদ্ধ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। এও জানা যাচ্ছে, অপারেশন তিস্তা প্রহার নদীর চড়ে মহড়া চলছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মতো নদীবহুল এলাকায় কিভাবে অগ্রসর হওয়া যায় বা নদীনালা ডিঙিয়ে কিভাবে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য যুদ্ধবাহন যাতে সাবলীলভাবে চলাচল করতে পারে। সূত্রের খবর, নয়া দিল্লিতে প্রস্তুতি চলছে। শেখ হাসিনার দল আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করার পর ভারতের প্রতিক্রিয়াও ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তাই বিশেষজ্ঞদের ধারণা এবার ভারতের পূর্ব সীমান্তেও বড় কিছু হবে। অপারেশন বাংলাদেশ?
Discussion about this post