অক্ষয় তৃতীয়া হিন্দু ধর্মের মানুষদের কাছে খুবই পবিত্র দিন। এই দিনে কোনোরকম শুভ যোগ ছাড়াই আমরা অনায়াসে যে কোনো শুভ কাজ করে থাকি। হিন্দু ধর্মের ধন , ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষী এবং সিদ্ধিদাতা গণেশকে এই দিনে আমরা এক যোগে পুজো করে থাকি। লক্ষী এবং গণেশ কে ব্যবসার দেবতা বলেও মনে করা হয়। তাই বিশেষ করে যারা ব্যবসা করেন তারা এই দিন লক্ষী-গণেশ পুজো করে থাকেন। এমনকী পয়লা বৈশাখের বদলে অনেকে এই শুভ যোগে হালখাতা করে থাকেন। এ দিন পূজার্চনা, জপ-তপ, শুভ কার্য থেকে প্রাপ্ত ফল অক্ষয় থাকে। এই তিথিতে সোনার গহনা কেনা ও বিশেষ করে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।
এদিনই সত্য যুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়. রাজা ভগীরথ গঙ্গা দেবীকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন। এদিনই কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। কুবেরের এই দিন লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে, এদিন লক্ষ্মী পূজা করা হয়। অন্যদিকে মানা হয় , এই দিন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাতেই এই দিনের মাহাত্ম্য হাজার গুন্ বেড়ে যায়,
কথিত আছে, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই মহর্ষি বেদব্যাসের থেকে মহাভারতের কাহিনি শুনে তা লিখতে বসেন গণেশ। শিব-পার্বতীর পুত্র গণেশকে বাদ দিয়ে কোনো পুজোই হয়না। তিনি বিঘ্ন হন্তা , সিদ্ধি দাতা , এবং সুখ ও সৌভাগ্যের দেবতা তাই অক্ষয় তৃতীয়ায় অনেক স্বর্ণ-রত্ন কেনেন ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা বৈভব-লক্ষী ও গণেশের পূজা করেন। শুভ দিন বলে অনেক ব্যবসায়ীরা এদিন নতুন ব্যবসাও শুরু করেন।
আবার অনেকে গৃহস্থের সুখ . সমৃদ্ধির জন্য মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন।
কথিত আছে এই শুভ দিনে ধনদেবতা কুবের তপস্যায় বসেন। তাঁর তপস্যায় মহাদেব সন্তুষ্ট হয়ে ধন-সম্পত্তি দান করেন। তাই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন গণেশ এবং লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে কুবেরের পূজা করলেও ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়।
Discussion about this post