অভিযোগ, সারা রাজ্যজুড়ে টোটোর দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। আবার অনেকে মনে করেন টোটো বা ই-রিক্সা আসায় কিছুটা সুবিধাই হয়েছে। এই বিতর্কের মাঝেই পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা শহরে রমরমিয়ে চলছে এক অভিনব টোটো। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই টোটো ভারতীয় রেলের সর্বশেষ সংস্করণ বন্দে ভারত ট্রেনের ছোঁয়া। ফলে নীল-সাদা রঙের এই টোটো ঘিরে এখন যথেষ্ট উন্মাদনা গুসকরা শহরে। অনেকে এই টোটোকে আদর করে বলছেন বন্দে ভারত টোটো। যদিও এই টোটোর ভাড়া অন্যান্য টোটোর থেকে অনেকটাই বেশি। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বন্দে ভারত টোটোয় উঠলেই গুণতে হবে ৩০ টাকা।
গুসকরা শহরে এই টোটোকে এক ঝলক দেখলেই বন্দে ভারত ট্রেনের কামরা ভেবে ভুল হতে পারে। এই টোটোর মালিক চাঁদ মেটে নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়ি গুসকরা শহরের মাছ পুকুর পাড় এলাকায়। বিগত সাত বছর ধরে টোটো চালাচ্ছেন চাঁদ। তাঁর দাবি, একদিন গুসকরা স্টেশনে বন্দে ভারত ট্রেন দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। অনেক মানুষের সঙ্গে তিনিও সেদিন গিয়েছিলেন ওই ট্রেনটি দেখতে। এরপরই তাঁর মাথায় এই আইডিয়া আসে। নিজের টোটোকে তিনি বন্দে ভারতের মতো আদল দেওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করেন। ঋণ নিয়েই এই কাজ শুরু করেন তিনি। প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে অবশেষে টোটোটিকে বন্দে ভারতের মতো আদল দেন তিনি। টোটোর ভিতর বসিয়েছেন এসি মেশন। তাঁর দাবি, সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
গুসকরাবাসীর দাবি, এই টোটোর ভিতর বসলেই আলাদা অনুভূতি হয়। তাই অনেকেই অপেক্ষায় থাকেন বন্দে ভারত টোটোয় চাপার জন্য। কোথাও এই টোটো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেই জমে যায় ভিড়। এছাড়া এসি থাকায় অনেকে চড়েও মজা পান। ফলে বন্দে ভারত টোটো রাস্তায় নামিয়ে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন চাঁদ মেটে। তাঁর দাবি, এই বন্দে ভারত টোটো দেখতে এখন দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন গুসকরা শহরে।
Discussion about this post