নিজের রোজগার থেকে অনেকেই ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করেন। কিন্তু কোন স্কিমে সঞ্চয় করলে ভালো রিটার্ণ পাওয়া যাবে তা নিয়ে অনেকেই সংশয়ে থাকেন। তুলনামূলক কম ঝুঁকির সঞ্চয় প্রকল্পগুলির মধ্যে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিম আবার কোনও কোনও ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। আবার অনেকে একটু ঝুঁকি নিয়ে মিউচুয়াল ফাণ্ড বা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এই স্কিমে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা এখন রাতারাতি মালামাল হয়ে গিয়েছেন। এই স্কিমে একটি কিস্তি ম্যাচুয়র হওয়ার আগেই বিনিয়োগকারীদের দুর্দান্ত মুনাফা দিচ্ছে।
আমরা আলোচনা করছি আরবিআই-এর ২০১৭-১৮ সালের সর্বভৌম গোল্ড বন্ড সিরিজ-১ নিয়ে। সম্প্রতি এই সিরিজের ড্য আরবিআই রিডেম্পশন প্রাইজ ঘোষণা করেছে। এই সোনার রিডেম্পশন প্রাইজ প্রতি ইউনিটে ৭,১৬৫ টাকা। ফলে ইউনিট প্রতি বিনিয়োগকারীরা পাচ্ছেন ৪,২৬৪ টাকা করে। ২০১৭-১৮ সালের গোল্ড বন্ড সিরিজ-১ সাধারণের জন্য খোলা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর। সেই সময় এই বন্ডের অধীনে ১ গ্রাম সোনার দাম ছিল ২,৯০১ টাকা। অর্থাৎ, ২০১৭-১৮ সালের সর্বভৌম গোল্ড বন্ড সিরিজ ১-এ যারা বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁরা এই সাত বছরে আড়াই গুণ বা ১৪৭ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন।
ইন্ডিয়ান বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে, ২০২৪ পর্যন্ত এই রিডেম্পশন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আরবিআই-এর নিয়ম অনুসারে, এবার গোল্ড বন্ডের যে কোনও বিনিয়োগকারী সোনা বিক্রি করে মুনাফা তুলতে পারেন। ফলে এখন যদি কেউ এই ২০১৭-১৮ সালের সর্বভৌম গোল্ড বন্ড সিরিজ ১-এর অধীনে সোনা বিক্রি করতে চান তবে তিনি আড়াই গুণ দাম পাবেন। অর্থাৎ, যদি কেউ এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তবে তিনি এখন পাবেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা।
আরবিআই তাঁদের সর্বভৌম গোল্ড বন্ডের (SOVEREIGN GOLD BOND) অধীনে বার্ষিক ২.৫ শতাংশ সুদের হার রেখেছে। সুদ দেওয়া হয় প্রতি ছয় মাস অন্তর। আর লক ইন পিরিয়ড হল ৪ বছর। অর্থাৎ ৪ বছরের আগে এই বন্ড ভাঙানো যাবে না। কিন্তু একটি রিডেম্পশন ক্লজ রাখা হয়েছে। এই সময় বিনিয়োগকারীরা সোনা বিক্রি করতে পারেন। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে সোনার দাম হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় এই বন্ডে রিটার্ন ভালো এসেছে বলেই অভিমত বিশ্লেষকদের।
Discussion about this post