হাজার কোটির ব্যবসা কিভাবে শুন্যে নেমে এলো জানেন?একটা সময় বড়ো বড়ো তারকাদের দিয়ে এই ব্র্যান্ড এর প্রচার হয়েছে।ফেসবুক মালিক মার্ক জুকারবার্গ ও বিনিয়োগ করেছিলেন আই ব্যবসায়।রমরমিয়ে ব্যবসা চলছিল।হটাৎই ছন্দ পতন।কিন্তু কিভাবে কোটি কোটি টাকার ব্যবসায় মন্দা দেখা দিল।একেবারে শূন্যয় এসে পৌঁছল!কি হয়েছিল আসলে।এর পেছনে রয়েছে এক কাহিনী। সংস্থার নাম বাইজু’স।যার প্রতিষ্ঠাতা একজন ভারতীয় তরুণ। নাম বাইজু রবীন্দ্রন। ৪৩ বছর বয়সেই তিনি ১০ হাজার কোটি ডলারের সংস্থার মালিক হয়েছেন।আবার সেই সংস্থার জন্য এখন দেউলিয়াও হতে বসেছেন।বলিউডের সবচেয়ে দামি তারকা কিং খান ছিল বাইজুস এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। ছ’বছর পর এখন সেই সংস্থার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিঁড়তে মরিয়া শাহরুখ। বাইজুস ক্রমেই উন্নতি করছিল। এই ধরনের স্টার্ট আপ সংস্থাকে অর্থসাহায্য করে তাদের সংস্থায় বিনিয়োগ করে বড় বড় বহু সংস্থা।বাইজু’স অজস্র সিড ফান্ডিং জোটাতে সমর্থ হয়।
২০১৩ সালে বাইজু’সে প্রথম বিনিয়োগ করে আরিন ক্যাপিটাল। ৯০ লক্ষ ডলার সাহায্য পায় বাইজু’স। এর পর একে একে বহু সংস্থাই এগিয়ে আসে বাইজু’সে বিনিয়োগ করতে।ফেসবুক মালিক মার্ক জুকারবার্গও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দায়। দু’বছরের মাথায় বাইজু’স সংস্থার মূল্য ১০ গুণ বৃদ্ধি হয়।লোকডাউন পরিস্থিতিতে ১০০ কোটি থেকে এক লাফে হাজার কোটির সংস্থায় উত্থান হয় বাইজু’স-এর।কারণ লকডাউন এ অনলাইন মাধ্যম কেই বেছে নেওয়া হয় পড়াশোনার জন্য। ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ অধিকাংশ ইংরেজিভাষী দেশেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল বাইজু’স অ্যাপ। ২০২১ সালে বাইজু’স-এর সংস্থার মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৫০ কোটি ডলার।কিন্তু হটাৎ কি হল যে একেবারে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হল বাইজুস এর? জানা যাচ্ছে ঋণে জর্জরিত ছিল বাইজুস। কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় নিজের বসতবাড়িটিকেও বন্ধক রাখতে হয়েছে তাঁকে।নিতে হয়েছিল ঋণ।
ইডির তল্লাশিও হয়েছে তাঁর বাড়িতে। বিদেশি মুদ্রা পরিচালনা আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২৫ কোটি ডলারের একটি ঋণও হাতে আসে বাইজু’স-এর। কোনও ভাবেই বিপুল ঋণের বোঝা কমছিল না বাইজু’স-এর। এর পরেও হাল ছাড়েনি বাইজু’স। জুলাই মাসে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রজনীশকুমার এবং ইনফোসিসের প্রাক্তন সিইও মোহনদাস পাইকে উপদেষ্টা বানায় বাইজু’স। এমনকি, নিয়োগ করে নতুন অডিটর।ক্ষতির হিসাব জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু ছ’মাস কেটে গেলেও শেষ পর্যন্ত সুরাহা হয়নি।আর এখন বাইজু’স এর দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। এভাবেও হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক এর এখন পকেট শূন্য।কেউ কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি এই বাইজুসের এই পরিস্থিতির কথা।
Discussion about this post