তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বঙ্গবাসীর।তাপপ্রবাহ চলায় বাইরে বেরোনো দায় হয়েছে।একই অবস্থা বাংলাদেশেও।এরই মধ্যে বৃষ্টির জন্য দিন গুনছে সবাই।কয়েক পশলা বৃষ্টি খানিক স্বস্তি দিতে পারে।কিন্তু আবহাওয়ার ওপর তো কারো কন্ট্রোল নেই।তাই বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গোনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।কিন্তু বাংলাদেশে এক রেস্তোরায় গিয়ে খেতে বসলেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে।শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।তবে আপনাকে দুপুরের দিকে যেতে হবে।তবেই বৃষ্টি নামবে।মাগুরার ইসলামপুর পাড়ায় অবস্থিত ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের পিছনে অবস্থিত এই হোটেল।তীব্র দাবদাহের মধ্যেও খেতে আসা লোকজনদের একটু স্বস্তি দিতে বৃষ্টির ব্যবস্থা করেছে রবিউল ইসলাম।তিনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরেই এই হোটেল ব্যবসায় যুক্ত রবিউল। রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে হওয়ায় তার হোটেলে ভালোই কাস্টমার হয়। রবিউল জানান, তাঁর বাবা ঠাকুরদার আমল থেকেই হোটেল চলছে।
কিন্তু বৃষ্টির বিষয়টা কি?কিভাবে এটা করলেন তিনি?
রবিউল বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসায় ব্যবসায় ভালোই চলছিল। সম্প্রতি লক্ষ্য করলাম যে গরমের কারণে আমার হোটেলে মানুষ আসতে চাইছেন না। কারণ এটা টিনের চালার হোটেল। তাই গরম বেশি। সেই কারণে কাস্টমারের সংখ্যা অনেক কম ছিল। তাই এই তাপ কমানোর বুদ্ধি বার করি। মূলত ইন্টারনেট থেকে দেখে আমি আমার হোটেল ঘরের টিনের চালার ওপর ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগাই। এটা করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।’
এই কৃত্রিম বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরমে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে। তাপমাত্রা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকছে।এদিকে একটু আরামে খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে দেখে হোটেলে খাওয়ার লোক ও বাড়ছে।সাধ্যের মধ্যেই তৃপ্তি করে খেতে সবাই যাচ্ছেন রবিউলের হোটেলে।
Discussion about this post