সেই ২০১১ সালে শৈলশহর দার্জিলিংয়ে শুরু হয়েছিল অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস প্যারাগ্লাইডিং। কিন্তু ২০১৭ সালে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে হিংসাত্মক আন্দোলনের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই জনপ্রিয় স্পোর্টস। তার পর থেকে দীর্ঘ সাত বছর হতাশায় ভুগেছেন রোমাঞ্চের সন্ধানে দার্জিলিং আসা পর্যটকরা। অবশেষে মিলল ছাড়পত্র। জিটিএ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের মুখ্য আহ্বায়ক দাওয়া শেরপা জানিয়ে দিলেন, নতুন করে দার্জিলিং শহরে প্যারাগ্লাইডিংকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও কালিম্পংয়ের ডেলো পাহাড়ে চালু ছিল এই জনপ্রিয় ইভেন্ট।
দীর্ঘ সাত বছর বন্ধ থাকার পর পাহাড়ের রানী দার্জিলিংয়ে চালু হতে চলেছে প্যারাগ্লাইডিং। ফলে একদিকে যেমন পর্যটক মহলে খুশির হাওয়া, তেমনই খুশি এই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। তাঁদের ধারণা, প্যারাগ্লাইডিং চালু হলে পাহাড়ে আরও পর্যটক বাড়বে। জিটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, দার্জিলিংয়ের সেন্ট পলস থেকে লেবং পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এলাকায় করা যাবে প্যারাগ্লাইডিং। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হল যদি আকাশ পরিস্কার থাকে তবে এই এলাকা থেকে প্যারাগ্লাইডিংয়ের মাধ্যমে আকাশে উড়ে দুর্দান্তভাবে উপভোগ করা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য।
সূত্রের খবর, যারা প্যারাগ্লাইডিং করতে চান তাঁদের আগাম বুক করতে হবে। কারণ আপাতত খুব কম সংখ্যাক পর্যটককে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, আপাতত প্রতিদিন মাত্র ৬ জন পর্যটক এই সুয়োগ পাবেন। প্যারাগ্লাইডিংয়ের মজা উপভোগ করার জন্য খরচ পড়বে জনপ্রতি ৩,৫০০ টাকা। এরমধ্যে ৫০০ টাকা আগাম জমা করতে হবে। সংস্থাই আপনাকে হোটেল থেকে সেন্ট পলস পর্যন্ত গাড়ি করে নিয়ে আসবে। এবং শেষে লেবং থেকে তাঁকে পৌঁছে দেওয়া হবে হোটেলে। তবে যদি আবহাওয়া খারাপ থাকে তবে অগ্রিমের টাকা ফেরত পাবেন পর্যটকরা। এছাড়া জানা যাচ্ছে, শুধু দার্জিলিং নয়, ভবিষ্যতে কার্শিয়াংয়েও চালু হতে পারে প্যারাগ্লাইডিং। কালিম্পংয়ের গিদ্দা পাহাড় থেকে শিলিগুড়ির কাছে রোহিনী পর্যন্ত হতে পারে এই প্রস্তাবিত প্যারাগ্লাইডিং রুট। ফলে আগামীদিনে যারা দার্জিলিং ঘুরতে যাবেন তাঁদের জন্য এটা খুবই খুশির খবর।
Discussion about this post