বাইরে তীব্র দাবদাহ, চাঁদি ফাটা রোদ্দুরে একেবারে নাস্তানাবুদ অবস্থা। তার উপর এই গরমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্নের একটা প্রবল সম্ভাবনা থেকেই যায়। এরই মাঝে বাইরে বের হলেই সুয্যি মামার তেজে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরে শরীরকে ঠান্ডা করতে কেউ পান করেন ফ্রিজের ঠান্ডা জল তো কেউ আবার ফুল দমে ac চালান। অনেকে আবার গরমের হাত থেকে বাঁচতে দিনভর এসি চালিয়ে রাখেন। আর তারপরই বিদ্যুৎতের বিলে কার্যত ছ্যাঁকা লাগে পকেটে। জানেন, এই গরমে এসি চালিয়েও বিদ্যুতের বিল বাঁচানো সম্ভব ? শুনে অবাক হলেন তো ! হ্যাঁ, এই প্রতিবেদনে আপনাদের জানাবো গরমের মধ্যে দিনভর এসি চালিয়েও কিভাবে সাশ্রয় করবেন বিদ্যুতের বিল। জানুন বিস্তারিত…
এসি কেনার সময় অবশ্যই ঘরের আয়তন অনুযায়ী কিনুন। ঘরের আয়তনের ওপর নির্ভর করে এসির টন। আপনার ঘরের আয়তন বড় হয়, আপনি কম টনের এসি লাগান। পুরো ঘরটি ঠান্ডা করতে এসির কম্প্রেসারকে অনেকক্ষণ ঘুরতে হয়। তাতে কম্প্রেসারের ওপর চাপ পরে। বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে।
ঘরের যেদিকে এসি মেশিনের বাইরের ইউনিটটি লাগাবেন, সেখানে যেন সূর্যের আলো না পড়ে। ইউনিটের মধ্যে থাকা কম্প্রেসারের উপর রোদ বেশি পড়লে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে। বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে। ঘরের বাইরে লাগানো কম্প্রেসার বক্সের উপর অবশ্যই শেড দিন। বিদ্যুতের বিল কমানোর জন্য বারংবার এসির রিমোর্টের সুইচ অন অফ করেন। একেবারেই করবেন না। বারবার খোলা বন্ধ করলে উল্টে বিদ্যুতের বিল বেশি আসবে। ২ থেকে ৩ মাস অন্তর অন্তর এসি সার্ভিসিং করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সহজেই আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখবে ।
রাতে ঘুমাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই এসির নম্বর ২৪ ডিগ্রি কিংবা তার বেশি করে রাখুন। এসি কম্প্রেসারকে বেশিক্ষণ ঘুরতে হবে না। সেইসঙ্গে বিদ্যুতের বিলও কম আসবে।
ঘরে এসি চালানোর সময় পাখাও সমানভাবে চালিয়ে রাখুন। পাখার হাওয়া ও এসির হাওয়ার সমন্বয় ঘর ঠান্ডা হবে। এসির কম্প্রেসারকেও বেশি ঘুরতে হয় না। ফলে বিদ্যুতের বিল কম আসবে।
এসির রিমোর্টে এনার্জি সেভার মোড আছে। মোডটা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। বর্তমানে যে পরিমাণে এসি ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে দূষণের মাত্রাও বাড়ছে। তাই চেষ্টা করুন একটু কম এসি চালানোর। যেমন বিদ্যুতের বিলেও সাশ্রয় হবে, নিয়ন্ত্রণ করা যাবে দূষণও।
আর জি কর আন্দোলনের আগুন যখন প্রায় নিবে গিয়েছে, তখন চাকরি বাতিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন আন্দোলনের...
Read more
Discussion about this post