কুচকুচে কালো গায়ের রঙ, দেহটা ছোটখাটো হলেও মাথার আকার অসম্ভব বড়। মুখের আবয়বও বেশ অদ্ভুত, কপাল ও মাথার অংশটি বেশ মোটা আর চোয়ালের অংশটি সরু হয়ে এসেছে। চোখদুটি বিশাল এবং টানাটানা, তবে নাক ও ঠোঁট মানুষের মতো। এরকম মুখের দিকে তাকালে ভয় এবং হাসি কোনটা আগে আসে সেটা অবশ্য বলা মুশকিল। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে মানুষ, আবার মানুষ নয়। অন্য কোনও জীব। এমনই এক দেবতার মন্দির তৈরি হয়েছে ভারতে। যি্নি এই মন্দির গড়ে এমন এক অদ্ভুতুরে দেবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পুজো করছেন তাঁর দাবিও বেশ অদ্ভুত। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম জেলার মল্লমুপট্টি গ্রামে তৈরি হয়েছে এই অদ্ভুতুরে মন্দির। প্রতিষ্ঠাতা ওই গ্রামেরই লোগানাথন নামে এক পুরোহিত। যাকে গ্রামবাসীরা সিদ্ধর ভাকের বলেই ডাকেন। তাঁর দাবি, এটা ভিনগ্রহী বা এলিয়েনের মন্দির। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। এলিয়েন দেবতা। আসুন পুরো ব্যাপারটা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভারত কেন, গোটা বিশ্বেই এমন কোনও মন্দির বা উপাসনালয় আছে কিনা সন্দেহ। যা তৈরি হয়ে গেল আমাদের দেশে। এলিয়েন বা ভিনগ্রহী জীব নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই এমনিতেই। তাঁরা আদৌ আছে কিনা সেটারই নির্দিষ্ট প্রমান এখনও কেউ পাননি। তবে ভিনগ্রহীদের নিয়ে অনেক গল্পগাথা চালু রয়েছে পৃথিবীর নানান দেশে। আবার প্রাগৈতিহাসিক যুগের কয়েকটি গুহায় অদ্ভুতদর্শন কিছু চিত্রের হদিশ মিলেছে, যা এক ঝলকে দেখলে ভিনগ্রহী জীব বলেই মনে হবে। এছাড়া মিশনের পিরামিডের ভিতর বা ভারতে প্রাচিন কয়েকটি মন্দিরগাত্রে খোদাই করা কয়েকটি ভাস্কর্যও ভিনগ্রহীদের প্রমান মিলেছে। কিন্তু তা বলে ভিনগ্রহীকে দেবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে নতুন মন্দির স্থাপনের ঘটনা এই প্রথম। পুরোহিত লোগানাথনের নির্বিকার দাবি, তিনি এলিয়েনদের সঙ্গে দেখা করেছেন, কথাও বলেছেন। এবং তাঁদের অনুমতি নিয়েই তিনি এই মন্দির স্থাপন করেছেন। যদিও লোগানাথন বলছেন, ভগবান শিব সমস্ত ব্রক্ষ্ণাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা। তিনি যেমন দেবতাদের সৃষ্টি করেছেন, মানুষ-সহ সমস্ত জীবজগতকে সৃষ্টি করেছেন, তেমনই তিনি এই পৃথিবী ছাড়িয়ে ভিনগ্রহে প্রাণের সৃষ্টিও করেছেন। লোগানাথনের দাবি, আমরা যাদের দেবতা বলি, তাঁরা আসলে ভিনগ্রহী। আর এই ভিনগ্রহীরাই একমাত্র জীব, যারা এই পৃথিবীকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। কারণ তাঁদের হাতে সীমাহীন ক্ষমতা। ওই পুরোহিত যাই বলুন, তামিলনাড়ুর সালেম জেলার মল্লমুপট্টি গ্রামের এই এলিয়েন দেবতার মন্দির কিন্তু ইতিমধ্যেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছে। যদিও মন্দিরটি এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। তবুও প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসছেন এই অদ্ভুতুরে দেবতার মন্দির দর্শন করতে। গ্রামের মানুষও রোজ পুজো দেন ভক্তি ভরে। আর পুরোহিত লোগানাথন অবশ্য, কোনও রকম কথায় কান দিতে রাজি নন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, আমাকে কেউ পাগল ভাবলে ভাবতে পারেন, কিন্তু আমি এলিয়েনদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁর আরও দাবি, এলিয়েনরা ইতিমধ্যেই গোটা পৃথিবী ঘুরে দেখে গিয়েছেন। এবং এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে ওরা বারবার ফিরে আসবেন।
Discussion about this post