বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। থরথর করে কেঁপে উঠলো গ্রামের বিস্তৃর্ণ এলাকা। ক্ষণিকের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বিস্তৃর্ণ গ্রামের একাংশ। আকাশ থেকে নেমে আসছে ছাই ভস্ম। কারণ, জেগে উঠেছে মাউন্ট রুয়াং। ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরির জ্বালা মুখ খুলে আচমকাই গলগল করে নির্গত হচ্ছে লাভা। এত ভয়ঙ্করভাবে লাভা নির্গত হচ্ছে যে, মাঝে মাঝেই কেঁপে উঠছে ভূ-পৃষ্ঠ। ইন্দোনেশিয়ায় জারি সুনামির সতর্কতা।
ঘটনার সুত্রপাত মঙ্গলবার, স্থানীয় সময় রাত পৌঁনে ১০টা। আচমকাই থরথরিয়ে কেঁপে উঠলো মাটি। কেবল মঙ্গলবারই নয়, বুধবার রাতেও পর পর চারবার কম্পন অনুভূতি হয় গ্রামে। তারপরই হঠাৎ করে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরে সুলাওয়েসি দ্বীপের ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি মাইন্ট রুয়াং-এর মুখ থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। ধোঁয়ার পরিমাণ এতটাই যে, ক্ষণিকের মধ্যেই ঢেকে যায় কয়েক কিলোমিটার জায়গা। আগ্নেয়গিরির প্রায় ১হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের লাভা স্রোত ঘুম কেড়েছে ইন্দোনেশিয়াবাসীর। ইতিমধ্যেই প্রায় ১১ হাজার বাসিন্দাকে নিকটবর্তী শহর মানাডোতে সরিয়ে নিয়ে আসে ইন্দোনেসিয়ার প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার দোকান, বাজার , হোটেল থেকে রেস্তোরা সবই।
সূত্রের খবর, প্রথমত এই দেশটিতে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে ১২০টি। তার উপর ভৌগলিক অবস্থানের কারনে এই দেশ অত্যন্ত ভূকম্পন প্রবন। সম্প্রতি, ইন্দোনেশিয়ায় পর পর দুটি ভুমিকম্প হয়, যার ফলে ভূ-গর্ভস্থ দুটি পাতের স্থিতি স্থাপকতা নষ্ট হওয়ার ফলেই এই অগ্নুৎপাত বলে মনে করছেন ভূ-তত্ত্ববিদদের একাংশ। একইসঙ্গে এই প্রসঙ্গে, ইন্দোনেসিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যাণ্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছুদিন আগেও জ্বালা মুখ খুলে সজাগ হয়ে উঠেছিল মাউন্ট রুয়াং। অগ্নুৎপাত না হলেও রাতের দিকে ধোঁয়া বের হত মাউন্ট রুয়াং থেকে। তবে এবার শুধু ধোঁয়াই নয়, জ্বালামুখ খুলে ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে মাউন্ট রুয়াং। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে যে এলাকা আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হচ্ছে যে, সেই স্থানকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রকৃতির এই ভয়ঙ্কর রূপ দেখে আতঙ্কিত ইন্দোনেশিয়াবাসী।
এক এপিকে দুই রাজ্যের ভোটার নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়. এবার সামনে এলো এক সাথে দুই দেশের নাগরিক! মুর্শিদাবাদের বুলবুল আহমেদ...
Read more
Discussion about this post