নিজের শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে সাবধান হয়ে জান। বেবি ফুদের নামে কি খাওয়াচ্ছেন নিজের শিশুকে জানেন? শিশুদের যে-ফুড সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানো হচ্ছে, সেটাও কি নিরাপদ নয়? কি খাওয়াবেন আপনার শিশুকে?কি খাওয়াবেন না ? কেন এই সব প্রশ্ন উঠছে? কারণ, এক বিখ্যাত ব্র্যান্ডের বেবি ফুড আর শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়।এমনই তথ্য উঠে আসছে।কোন ব্র্যান্ড ? কি কারণে নিরাপদ নয়?জানাবো আজকের প্রতিবেদনে। বেবিফুড কোম্পানির মধ্যে খুব পপুলার এক ব্র্যান্ড এর নাম উঠে এসেছে।অতিরিক্ত চিনি থাকায় শিশুদের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর এই বেবিফুড।অভিযোগ, ‘নেসলে’র সব থেকে বেশি বিক্রি হওয়া দুটি বেবি ফুডে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি। বিদেশের বেবিফুডগুলিতে চিনি মেশানো না থাকলেও, ভারতে প্রতি চামচ বেবি ফুডে থাকে ৩ গ্রাম করে থাকে। যা শিশুদের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।আর এই তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসছে সব পক্ষ। পাবলিক আই’ নামক একটি সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা অমান্য করে নেসলে ভারতে বিক্রি হওয়া বেবি ফুডে চিনি ও মধু মেশায়। ব্রিটেন, জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ডের মতো দেশে বেবি ফুডে চিনি মেশায় না নেসলে।কিন্ত ভারতে বিক্রি হওয়া একই কোম্পানির বেবি ফুডে থাকে অতিরিক্ত চিনি ও মধু! এবং শুধু ভারতে নয়, এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশেই অতিরিক্ত চিনি মিশিয়ে বিক্রি করা হয় বেবিফুড। আরও জানা যাচ্ছে, ইথিওপিয়া ও থাইল্য়ান্ডে বিক্রি হওয়া নেসলের ওই বেবি ফুডে চিনির পরিমাণ থাকে আরও বেশি। সেখানে প্রতি চামচেই প্রায় ৬ গ্রাম করে চিনি থাকে, ভারতের প্রায় দ্বিগুণ! অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি ও মধু মেশানো থাকায় শিশুরা এই খাবার খেয়ে ওবেসিটি ও অন্যান্য অসুখের শিকার হয়ে পড়ছে ছোট থেকেই। আর বড় হওয়ার পরেও তাদের আরও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যে কোনও পণ্যের প্যাকেজিং এ সেই পণ্যটির উপাদান সম্পর্কে তথ্য দেওয়া থাকে।তবে এক্ষেত্রে সেখানেও সংশ্লিষ্ট ফুডটিতে কত পরিমাণ চিনি মেশানো থাকে, তার উল্লেখ করা হয় না বলে অভিযোগ।এরও তদন্ত চলছে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে বোর্নভিটা নিয়েও এই ধরনের একটি সমস্যা হয়েছিল।বেবিফুডগুলি নিয়ে বারবার সমস্যা হওয়ায় চিন্তার ভাজ বাবা মায়েদের কপালে।
Discussion about this post