চেন্নাই এর চিপক স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব সহজেই হারিয়ে দিল চেন্নাই কে । চেন্নাই এর বিরুদ্ধে ম্যাচে পাঞ্জাবের তরুণ প্রতিভা শশাঙ্ক সিং ফের উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন ব্যাট হাতে। জনি বেয়ারস্টো,রশো এবংএবারের আইপিএলের আবিষ্কার শশাঙ্কের হাতেই পরাজয় বরণ করতে হলো চেন্নাইকে ।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব কিংস ইলেভেন। ঋতুরাজ গাইকোয়ার এবং আজিঙ্ক রাহানে প্রথম ব্যাট করতে নামে। প্রথম ওভারে তারা ৪ রান তুললেও পাওয়ার প্লে তে তারা বিনা উইকেটে ৫৫ রানের পৌঁছে যায় । আজিঙ্ক রাহানে ২৪ বলে ২৯ রান করে হারপ্রীত ব্রারের বলে আউট হন ।
এরপর ব্যাট করতে আসেন ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলের সুযোগ পাওয়া বাকি ব্যাটসম্যান শিবম দুবে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার শিবম কিন্তু শূন্য রানেই এলবিডব্লিউ আউট হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়ানে । এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাট করতে নামলে তিনিও দ্রুত ফিরে যান মাত্র দু রান করে । ঋতুরাজ গাইকোয়ার আজও একটি অসাধারণ হাফ সেঞ্চুরি করেছেন এই ম্যাচে তিনি ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন । আইপিএলের সর্বোচ্চ রান করায় এই মুহূর্তে কমলা টুপির দখলে তিনি বিরাটকে হারিয়ে এগিয়ে গেলেন। মঈন আলী ব্যাট করতে এসে দুই একটি ভাল শট নেবার পরে তিনিও অল্প রানে ফিরে যান। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে ব্যাট করতে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি । এর আগে আটটি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে নট আউট ছিলেন তিনি। এই ম্যাচে শেষ বলে রান আউট হন তিনি।
যদিও এগারো বলে ১৪ রান করেছেন এবং মেরেছেন একটি বড় ছক্কা। আর দুটি ওভারবাউন্ডারি মারতে পারলেই আইপিএলে তার ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা হবে ২৫০। চেন্নাই সুপার কিংস নির্ধারিত কুড়ি ওভারে সাত উইকেটে ১৬২ রান তোলে। ১৬৩ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামে পাঞ্জাব কিংস। শুরুতে ব্যাট করতে নামেন জনি বিয়ারস্টো এবং প্রভসিমরন সিং । প্রভসিমরন ১০ বলে ১৩ রান করে ফিরে গেলেও পাওয়ার প্লে তে পাঞ্জাব বাহান্ন রান তুলে ফেলে । এদিন শিবম দুবেকে বল করতে দেখা যায়। খুব ভালো ব্যাট করছিলেন জনি বিয়ারস্টো । শিবম দুবের বলে তিনি ৪৬ রান করে আউট হয়ে যান । দ্বিতীয় উইকেটে 28 বলে 50 সালে একটি অনবদ্য পার্টনারশিপ করে দিয়ে যান বিয়ারস্টো রশোর সঙ্গে । রশো ২৩ বলে ৪৩ রানের একটি ঝড়ে ইনিংস খেলেন । আরও একবার নিজের যোগ্যতার প্রমাণ করলেন শশাঙ্ক সিং । প্রায় প্রত্যেকটা ম্যাচেই তিনি পাঞ্জাবের হয়ে ভালো ব্যাট করছেন ।
শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ২৫ রান করে নট আউট থেকে তিনি দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। অবশ্যই তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক সাম কারেন কুড়ি বলে ২৬ সালের নট আউট থেকে । এই ম্যাচ জিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখল পাঞ্জাব আইপিএলের মূল পর্বে যাওয়ার জন্য। ১০ ম্যাচ খেলে পাঞ্জাব পৌঁছালো ৮ পয়েন্টে অপরদিকে চেন্নাই দশ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টে রয়ে গেল।
Discussion about this post