খেলা শেষে ভরা স্টেডিয়ামে দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার কাছে অপমানিত হওয়ার পর লক্ষনৌ সুপার জায়েন্টসের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চলেছেন কে এল রাহুল। বুধবার রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও লখনৌ সুপার জায়েন্টস। লখনৌ প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেটে তুলেছিল ১৬৫ রান। এর জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬২ বল হাতে রেখে বিনা উইকেটে রান তুলে ম্যাচ বার করে নেয় হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার। অভিষেক শর্মা ২৮ বলে অপরাজিতা৭৫ রানের ইনিংস খেলেন।
হেডের, ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ৮৯ রান । দুই ব্যাটার মিলে ১৬ টি চার ও ১৪টি ছয় মেরেছেন । ম্যাচ হেরে বলার ভাষা হারান কে এল রাহুল। খেলার পর রাহুল বলেন, আমার বলার ভাষা নেই। এরকম ব্যাটিং টিভিতে দেখি আমরা, অবিশ্বাস্য !প্রতিটি বলই ওরা ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলল। ওদের দক্ষতাকে আমার কুর্নিশ ।ওরা যেভাবে ছয় মেরেছে তার জন্য ওদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে পিচ যেরকম আচরণ করেছে সেখানে ওরা আমাদের কোন সুযোগ দেয়নি।
প্রথম বল থেকেই ওরা মরিয়া ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছিল। খেলা শেষ হওয়ার পর দেখা যায় যে দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েনকা স্ট্যান্ড থেকে নেমে আসেন মাঠে।। তারপর ভরা স্টেডিয়ামে তিনি তীব্র ভর্ৎসনা করেন রাহুলকে। রাহুল চুপ করে সব শুনে যান। গোয়েঙ্কা কি বলেছিলেন রাহুলকে তা শোনা যায়নি বটে তবে তাদের কথোপকথনের, বলা ভালো একজনেরই কথা বলার ধরন অঙ্গভঙ্গি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, মালিক অগ্নি শর্মা হয়েই দলের অধিনায়ককে ধুয়ে দিয়েছেন ।
মালিকের অপ্রত্যাশিত আচরণ নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই আচরণ কেউ মেনে নিতে পারেননি। সকলেই মতবাদ দেন ,রাহুলের উচিত এই আচরণ সহ্য না করে আত্মসম্মান রক্ষায় দল থেকে বেরিয়ে আসার । একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে এরকম ব্যবহারের সকলেই তীব্র বিরোধিতা করেছেন। রাহুলের অধিনায়কত্বে বিগত দুই বছর লক্ষনৌ প্লে অফে খেলেছে।তবে চলতি মরশুমে বারো ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে লখনৌ কঠিন লড়াই করছে
Discussion about this post