১৯৫৮ সালের ১৯৬২ সাল এবং ১৯৭০ সাল , তিনবার বিশ্বকাপ জয় করে চিরদিনের মত জুলে রিমে কাপ নিয়ে যায় বিশ্বের ফুটবলে সর্বশ্রেষ্ঠ দেশ ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকান অপর প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা তখনও কোনদিনও বিশ্বকাপ জয় করেনি । ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ জয় করে জার্মানি । ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনা প্রথমবারের জন্য বিশ্বকাপ জয় করে। ১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনার ফুটবল কোচ লুই সিজার মেনেত্তি পরলোক গমন করেছেন। আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা জানিয়েছে,”অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি ,সিজার লুইস মেনেত্তি আর নেই ।আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ী কোচ ছিলেন। বর্তমানে জাতীয় দলের ডিরেক্টর পদেও ছিলেন। ১৯৭৪ সালের মেনেত্তিকে যখন জাতীয় দলের কোচ করা হয় তখন খুব খারাপ অবস্থায় আর্জেন্টিনার । জার্মানি বিশ্বকাপে হতাশ্রী ফল করে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনাকে ঘুরে দাঁড়ানোর দায়িত্ব মেনেত্তির ওপরে বর্তায়। কিন্তু সে সময় শুধু ফুটবলের অবস্থায় যে খারাপ তা নয়, দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও খুব খারাপ ছিল। মেনেত্তির ফুটবল ধারণা ছিল তা সম্পূর্ণ নিজস্ব । ১৯৭০ সালের ব্রাজিলকে দেখে তিনি নিজের টিম তৈরি করলেন স্বাধীনচেতা হিসেবে । এটাকে তিনি বলতেন লেফট উইং বা বামপন্থী ফুটবল। নিজের দক্ষতায় ফুটবলারদের খেলার স্বাধীনতা দিলেন। যার ফল দেখলো ১৯৭৮ বিশ্বকাপ। ড্যানিয়েল পাসারেল্লা, আর্দিলেস, লুকে, মারিও কেম্পেসরা মাঠ মাতিয়ে দিলেন স্কিলে।
আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ দিলেন লুই সিজার মেনেত্তি। ১৯৭৮ সালের টিম থেকে মারাদোনাকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে বলেছিলেন,ও খুব ছোট ছিল তখন ওকে রক্ষা করতেই টিমে নিয়ে যায়নি। আসলে মারাদোনাকে খুব ভালবাসতেন মেনেত্তি।। পরের বছর অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপে মারাদোনাকে নিয়ে যান, চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কাছে হারার পর দেশের কোচের চাকরি ছাড়েন । আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত । রোজারিওতে ১৯৩৮ সালের জন্ম মেনেত্তির । তিনি ছিলেন স্ট্রাইকার ১৯৬০ সালে পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেন। পেলের সঙ্গে স্যান্টোসে খেলেছেন ১৯৬8 সালে । লিওনেল মেসি সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ফুটবল জগতের এক অসামান্য চরিত্রে চলে গেলেন ওর পরিবারকে সমবেদনা জানাই ।
Discussion about this post