বর্তমানে সব খেলাকে নির্ভুল এবং বিতর্কহীন করার জন্য বহু ব্যয় করে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু খুশি করা যাচ্ছে না খেলোয়াড় থেকে দর্শক সমর্থকদের। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না যায়, তা হলে তো প্রযুক্তি নিয়ে ক্ষোভ থাকবেই। তারই প্রকাশ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্তরে। গত মঙ্গলবার আইপিএলে দিল্লির কাছে হেরে গিয়েছে রাজস্থান শুধু তাই নয় পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থানে ওঠার স্বপ্নও অধরা থেকে গিয়েছে। আর সেই রাজস্থানের হয়ে ভাল খেলেও ম্যাচ শেষে জরিমানার মুখে পড়তে হল সঞ্জু স্যামসনকে। শাস্তি হিসাবে রাজস্থান অধিনায়কের ৩০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছে।
দিল্লির বিরুদ্ধে মুকেশ কুমারের বলে আউট হওয়ার পর আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করেছিলেন সঞ্জু। বাউন্ডারির ধারে তার ক্যাচ ধরেছিলেন শে হোপ। কিন্তু হোপের পা বাউন্ডারির দড়ির খুব কাছে ছিল। বিভিন্ন কোণ দিয়ে দেখেও বোঝা যায়নি পা দড়িতে লেগেছে কি না।সেভাবে কোনও জোরালো প্রমাণ না থাকায় টিভি রিপ্লে দেখেই আম্পায়ারেরা সঞ্জুকে আউট দিয়ে দেন । তবে সঞ্জু সেই সিদ্ধান্তে একেবারে খুশি হতে পারেননি। আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন। তাঁর দাবি, হোপের পা দড়িতে লেগেছে। কিন্তু আম্পায়াররা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।ফলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় সঞ্জুকে। পরে বোর্ড জানায় সঞ্জুকে জরিমানা করা হয়েছে। সঞ্জু সেই শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য হন।তাকে জানানো হয় যে তিনি শৃঙ্খলাবিধি আইনে, লেভেল ওয়ান পর্যায়ের অপরাধ করেছেন। এ ধরনের বিষয়ে ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এরপর সমর্থকদের একাংশ ক্ষিপ্ত আম্পায়ারদের ভূমিকা নিয়ে। তাঁদের মতে, এ ধরনের নিম্নমানের আম্পায়ারিং আইপিএলের নাম আরও খারাপ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মাঠের আম্পায়ারদের ভূমিকা অনেক কমে গিয়েছে। তবুও বিতর্কিত আউট এড়ানো যাচ্ছে না। কারও কারও মতে, আইপিএলের আম্পায়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত বোর্ডের। যে দেশের লিগে খেলতে মুখিয়ে থাকেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারেরা, সেখানে আম্পায়ারিংয়ের মান এত খারাপ হলে তা ক্রিকেট এবং আইপিএলের ক্ষতি করবে বলে অনেকের মত।মঙ্গলবার ২০ রানে জিতে খাতায়-কলমে টিকে রয়েছে দিল্লি। সঞ্জু ৪৬ বলে ৮৬ রান করেন। আউট না হলে খেলার রেজাল্ট অন্যরকম হতে পারত।
গ্রেগ চ্যাপলের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের সম্পর্ক কিরকম তার নতুন করে বলার নয়। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমল থেকে দুপক্ষের সম্পর্ক যথেষ্ট...
Read more
Discussion about this post