মুম্বাই যখন হারের পর হার হজম করছে তখন মুম্বাই দলের সব ভক্ত সমর্থকরা এবং দলের ম্যানেজমেন্ট মনে প্রাণে চাইছিল সূর্যকুমার চোট সারিয়ে দলে ফিরে আসুক। বেশ কিছু ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর মুম্বাইয়ের অন্ধকার আকাশে সূর্য্যের উদয় হয়। দলে ফেরেন সূর্যকুমার। এখন সেই সূর্যকুমারই আইপিএলে মুম্বাইকে টিকিয়ে রেখেছে বলা চলে। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন তিনি । অবশ্য কৃতিত্ব প্রাপ্য বোলারদেরও। সানরাইজার্সের মতো বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনকে মাত্র ১৭৩ রানে আটকে রাখা কঠিন কাজ । কিন্তু সবার প্রচেষ্টায় প্লে-অফের দৌড়ে আরও একটা লাইফলাইন পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পীযুষ চাওলা, হার্দিক পান্ডিয়াদের অনবদ্য বোলিংয়ের পর সূর্যকুমার যাদবের সেঞ্চুরি মুম্বাইকে খুশি করলেও চিন্তার মেঘ ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে।
কারণ খোড়াচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। চোট মুক্ত সূর্যকুমারকে পাওয়া খুবই জরুরি ভারতের কাছে। ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার যাদব অবশ্য আস্বস্ত করেছেন তার কোন চোট আঘাত লাগেনি, শুধুই ক্লান্তি।গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে চোট পেয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। দীর্ঘ কয়েক মাস রিহ্যাবে থাকতে হয় তাকে । আইপিএলেও শুরুর দিকে তাঁকে পায়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সানরাইজার্সকে হারানোর কৃতিত্ব প্রাপ্য বোলারদেরও। সানরাইজার্সের মতো বিধ্বংসী দলকে মাত্র ১৭৩ রানে আটকে রাখা সহজ নয়। সানরাইজার্স ইনিংসে সব মিলিয়ে মাত্র ১৮টি বাউন্ডারি ও ওভারবাউন্ডারি । যেখানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইনিংসে সূর্যকুমার একাই বাউন্ডারি ও ওভারবান্ডারি মিলিয়ে ১৮টি । এর মধ্যে ১২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাকিয়েছেন ।
চোট প্রসঙ্গে সূর্যকুমার যাদব বলেন, ‘খুব ভুল না হলে গত ১৪ ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ২০ ওভার ফিল্ডিং করলাম এবং ১৮ ওভার ব্যাটিং। সে কারণেই ক্লান্তি কাজ করছিল। কোনও চোট নেই এটুকু নিশ্চিত করতে পারি।’ মাত্র ৫১ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস দেখার পর যে কেউ বলবেন, এগুলো সূর্যর পক্ষেই খেলা সম্ভব। দীর্ঘ সময় পর যেন সেই পরিচিত সূর্যকুমারকে দেখা গেল।
Discussion about this post