গত বছর ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গলেরপ্রথম ম্যাচ ছিল ডার্বি ।মোহনবাগানকে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। যদিও ফাইনালে মোহনবাগানের কাছে হেরে গেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ভালো খেলে যথেষ্ট লড়াই করে। কিন্তু বুধবার শিলংয়ের জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল কোয়ার্টার ফাইনালে লাজং এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরে গেল। এভাবে ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ড থেকে বিদায় নেবে সেটা কোন সমর্থকই ভাবতে পারিনি। যুবভারতীতে ডুরান্ডেড সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল প্রত্যাবর্তনের দিনেই যাত্রা শেষ কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের। সেমিফাইনালে আজম খেলবে আর এক পাহাড়ি টিম নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এর বিরুদ্ধে। বুধবার কোকড়াঝাড়ের সাই স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে নর্থইস্ট ২-০গোলে হারায় ইন্ডিয়ান আর্মি কে। পরপর দুটো ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের হারের কারণ জঘন্য ডিফেন্স ।
লাল হলুদের টিম ম্যানেজমেন্ট ইমামের তরফ থেকে এবার যথেষ্ট প্রস্তুতির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।কোচ কুয়াদ্রাত অনেক আগে থেকেই প্র্যাকটিসে নেমেছেন।কিন্তু ডিফেন্স নিয়ে তার পরিকল্পনা দুই ম্যাচের ম্যাচেই ফেল করল। যেদিন ৮ মিনিটে গোল হজমের পরে ৭৭ মিনিটে নন্দকুমার সেই গোল শোধ করেন ।গোল করে গ্যালারির দিকে গিয়ে তিনি তার জার্সি তুলে ইনারের মধ্যে ‘রেসপেক্ট উইমেন’ লেখা তুলে ধরেন আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে ।মেয়েদের সম্মান দেখালেও টিমের সম্মান অবশ্য বাঁচাতে পারলেন না নন্দ। ৮৪ মিনিটে গোল হজম ডিফেন্সের চরম ভুল বোঝাবুঝিতে। ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখলে অবশ্যই অবাক হতে হবে ইস্টবেঙ্গলের হাড়ে কারণ ৬১ শতাংশ বল পজিশন ৩২৭টি পাস ,প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে২৩ অ্যাটাক সত্ত্বেও কুয়াদ্রাতের টিমকে হারতে হয়েছে ।
ডাইরেক্ট ফুটবলের লাজং বিদ্ধ করল কলকাতার টিমকে । লাজং এর প্রথম গোল ব্রাজিলিয়ান রুদওয়ারের । দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ইস্টবেঙ্গল একটা নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়। বক্সের মধ্যে হাতে বল লেগেছিল লাজং ডিফেন্ডারের। শেষের দিকে গোল করতে মরিয়া কুয়াদ্রাত তার অ্যাটাক লাইনে ক্লেইন্টন , দিমিত্রিয়াসের সঙ্গে জুড়ে দেন বড় চেহারার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর ইয়ুৎউসেকেও। মঙ্গলবার টিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ডিফেন্ডার হেক্টর। কিন্তু তিনি সুপার সাব হয়ে উঠতে পারলেন না ।লাজং এর ফিগো পরে নেমে সুপার সাব হয়ে গেলেন জয়ের গোলটা করে।
Discussion about this post